দুঃশাসন আর সিন্ডিকেটের কারণে জনগণ অসহায়। দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুর ওপর নেমে ছবি তোলা যাবে না। ছবি তোলায় কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে। অথচ কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
পরে অর্পণ সংঘের উদ্যোগে যুবদলের সাবেক নেতা মরহুম জিএস বাবুলের স্ত্রীর হাতে অর্থসহায়তা তুলে দেন রিজভী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ডা. জাহেদুল কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও অর্পণ সংঘের বীথিকা বিনতে হোসাইন, ওমর ফারুক কাওসার ও আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনদুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সিন্ডিকেট করে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ সিন্ডিকেট এমনভাবে চেপে বসেছে মানুষ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। কোরবানির হাটেও সিন্ডিকেট করছে আওয়ামী লীগের লোকজন।
লোডশেডিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে নাকি বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে এতো লোডশেডিং কেনো। লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে যে টাকা পাচার হয়েছে এর কুফল মানুষ এখন ভোগ করছে।
‘আজকে বিদ্যুৎ খাতে জনগণের ভর্তুকির টাকা হরিলুট করা হয়েছে। বিদেশে পাচার করা হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসে নয়-ছয় হয়েছে। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনে নজর দেয়নি।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সরকারের সমালোচনা করে বলেন, উন্নয়নের নামে এতো লাফালাফি হলো, এখন বিদ্যুৎ কোথায়। এখন কোথায় দশ টাকার চাল। কোথায় ঘরে ঘরে চাকরি। আজকে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে লিখতে ও বলতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে বিভিন্ন কালাকানুন করেছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ঈদের প্রাক্কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে হাপিত্যেশ করছে। সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। মানুষ বন্যার পানিতে ভাসছে, তাদের দিকে সরকারের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা পদ্মা সেতুর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত।
‘বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’