সবাই সতর্ক না হলে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকানো কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি নিজেরা সতর্ক না হই, তাহলে ওমিক্রন ঠেকিয়ে রাখা খুব কঠিন হবে। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদের সতর্ক হতে হবে।
করোনা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিরোধ সবচেয়ে ভালো উপায় উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে অনেক মানুষ বিদেশ থেকে আসা-যাওয়া করছে। যেসব দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ রয়েছে, সেসব দেশেও আমাদের বহু মানুষ আসা-যাওয়া করছে। আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতেও বহু মানুষ আসা-যাওয়া করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম জিম্বাবুয়ে থেকে এসেছিল, তারা সোনারগাঁওয়ে কোয়ারেন্টাইনে ছিল। আমরা তাদের বেশ কয়েকবার টেস্ট করেছি এবং দুজনের ওমিক্রন পেয়েছি। জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আমরা এ তথ্য পাই। তারা এখন ভালো আছে, সুস্থ আছে। অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির গায়ে আমরা ওমিক্রন পাইনি। যারা হোটেলে আছে ও তাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদেরও টেস্টের ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা এখনো ভালো আছি। বর্ডার স্ক্রিনিং, বিমানবন্দর স্ক্রিনিং আমরা জোরদার করেছি।
তিনি আরও বলেন, ওমিক্রন এখনো খুব ক্ষতিকারক নয়। এটি সাংঘাতিক সংক্রামক, কিন্তু মৃত্যুর খবর কোথাও আমরা পাইনি। আমাদের এজন্য সজাগ থাকতে হবে। গতকালও আমরা দেখেছি ১ দশমিক ৫ শতাংশ সংক্রমণের হার। এটি এখন বাড়তির দিকে। আমাদের মৃত্যুও ৬ হয়েছে গতকাল, এটা শূন্য, ১ বা ২-এ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। টিকা যারা নেননি তাদের আহ্বান করবো টিকা নিয়ে সুরক্ষিত হয়ে যান।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ষাটোর্ধ ব্যক্তি ও ফ্রন্টলাইনের কর্মীদের আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এটা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। বুস্টার ডোজ দেওয়ার আগে আমাদের সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। সেজন্য আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করছি। আশা করছি আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে কাজটি শুরু করতে পারবো।