ব্রাজিলের খেলার ধরণই এমন। যারা ব্রাজিল ভক্ত নন তারাও ব্রাজিলের খেলা দেখতে পছন্দ করেন। ব্রাজিলের ফুটবল পছন্দ করার কারণে লিভারপুল ভক্তরা অ্যানফিল্ডে কৌতিনহোকে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানাবে। দুয়ো দেবে না।
কারণটা বলে নেওয়া যাক। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল প্রীতি ম্যাচে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে। আর ওই ম্যাচে লিভারপুল ছেড়ে বার্সেলোনায় যাওয়া কৌতিনহোকে সমর্থকরা সাদরে অভ্যার্থনা জানাবে। সাবেক লিভারপুল লিজেন্ড কেনি ডাগলিশ অন্তত এমনটাই মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওই ম্যাচ দেখবেন মূলত লিভারপুল দর্শকরা। তারা কৌতিনহোর লিভারপুলে ফেরা দারুণভাবে গ্রহণ করবে। সে দল ছাড়ায় অনেকে হতাশ। আমি তাদের হতাশাটা বুঝি। কিন্তু তার বক্সের বাইরে থেকে গোল করার দারুণ ক্ষমতা আছে। সেটা দেখার জন্য অনেকে উদগ্রিব থাকবে।’
লিভারপুলের হয়ে ডাগলিশ ৩৫৫ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। নিজ দেশ স্কটল্যান্ডের হয়ে এই ফরোয়ার্ড খেলেছেন ১০২ ম্যাচ। ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা এবং তাদের খেলা দেখা দারুণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি কিছু স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেবার দলের হয়ে ব্রাজিলে খেলতে গেলাম। তাদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিলাম। পুরো ম্যাচে আমি কয়েকবার মাত্র বল মারার সুযোগ পেয়েছিলাম।’
‘আমার স্মৃতিতে তাদের বিপক্ষে কোন জয় নেই’, বলে চলেন ডাগলিশ। তবে ব্রাজিলকে তারা হারাতে না পারলেও জার্মানি মারাকানা স্টেডিয়ামে ৭-১ গোলে বিধ্বস্থ করেছে। ওই ক্ষত নিয়েই বিশ্বাকাপে যাবে নেইমাররা। কিন্তু সাবেক এই তারকা মনে করেন বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১৮ ম্যাচে মাত্র একটিতে হারা ব্রাজিল এবার অনেক নির্ভার।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্রাজিল দর্শকদের আনন্দ না দিয়ে খেলতেই জানে না। মাঠে তারা কি করে সেটা দেখা দারুণ আনন্দের ব্যাপার। তাদের খেলার কৌশলে কিছু অগ্নিচুল্লি আছে। যদি প্রথমে তা ব্যর্থ হয় তবে আরো ধাঁরালো অস্ত্র বের করে তারা।’ তবে ক্রোয়েশিয়াও ভালো দল বলে জানান তিনি। তাদের দলে মডরিচ, মানজুকিচ, রাকিটিচ, কোভাচিচদের মতো খেলোয়াড় আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।