করোনা সংক্রমণ রোধে চাকরিজীবীসহ সবাইকে ঢাকায় রাখতে এবার ঈদের ছুটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তাই আগামীকাল ২৯ রমজান অর্থাৎ বুধবার (১২ মে) অফিস খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১১ মে) জাগো নিউজকে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বৃহস্পতি বা শুক্রবার (১৩, ১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
সাধারণত ২৯ রমজান থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়। ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন ও পরের দিন- এই তিনদিন ছুটি থাকে।
তবে রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদের ছুটি একদিন বেড়ে হয় চারদিন। সেই হিসাবে এবার বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১২, ১৩ ও ১৪ মে) এবং রমজান মাস ৩০ দিনে হলে ১৫ মেও (শনিবার) ছুটি থাকার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বুধবার থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে না।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতিতে এই ছুটি দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই না কেউ এখান (ঢাকা) থেকে বাইরে চলে যাক। তাই ছুটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, যাতে সবাই ঢাকায় থেকে যায়। বুধবারও অফিস চলবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে, আপনাদের কর্মীদের ঢাকায় রেখে দেন।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে (গ্রামে) গেলে করোনা মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। আমরা এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ছুটি সাজিয়েছি, ছুটি সংক্ষিপ্ত করেছি। ঈদ যদি বৃহস্পতিবারও হয় অসুবিধা নেই।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশে এখন বিধিনিষেধ চলছে। আগামী ১৬ মে পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
বিধিনিষেধের নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প-কারখানা চলছে। সীমিত পরিসরে চলছে ব্যাংক লেনদেন। জেলার মধ্যে চলছে বাস। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে।
গত ৫ মে’র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরেদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।