সবজির চড়া দামে নাকাল ক্রেতা

:
: ৯ মাস আগে

বাজারে সবজির দাম অনেক বেশি। ফলে অস্বস্তিতে পড়ছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, এখনো পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি না আসার কারণে দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে বলে জানান বিক্রেতারা।

 

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবজি তুলনামূলক কম। তাই সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে শীতের সবজি। সাধারণত এই মৌসুমে শীতকালীন সবজি লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, দেশি পিঁয়াজ, ভারতীয় পিঁয়াজ, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালংশাক, পটোল, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা, পেঁপে, আলু, করলা, কচু, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে বাজার।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সিম প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে, টমেটো ১০০ টাকা কেজি দরে, ঢেঁড়স ৮০ টাকা কেজি দরে, করলা ৮০ টাকা কেজি দরে, বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে, মুলা ৭০ টাকা কেজি দরে, পটল ৮০ টাকা কেজি দরে, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে, পেঁপে ২৫ টাকা কেজি দরে, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া শসা ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৩০ টাকা (ছোট) দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি। রুই মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। আর পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপণ্য উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।

 

বাজার করতে আসা সানজিদা বন্যা নামের একজন বলেন, জিনিসপত্রের যা দাম তাতে মাছ মাংসের দোকানে ভুলেও যাওয়া হয় না। কিন্তু সবজির দামও এখন আকাশছোঁয়া। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে অর্ধেক ব্যাগ ভরে না।

আরেক ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহেই জিনিসের দাম ১০/১৫ টাকা বেড়েছে। এভাবে সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়লে আমাদের মতন মধ্যবিত্তরা কিভাবে চলবে বলেন?

সবজি বিক্রেতা আলম জানান, সামনে মাস থেকে সবজির দাম আশা করি কমতে শুরু করবে। এ বছর বৃষ্টির কারণে শীতাকালীন সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। বাজারে এখন যে চাহিদা রয়েছে সে চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই। ফলে দামও কিছুট বাড়তি।