সন্ধ্যা নদীর ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম এমপি বরিশালের বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় সর্বনাশা সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত তিনি স্পীডবোট নিয়ে উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর, কালিরবাজার, দাসেরহাট,চতলবাড়ি, চৌধুরীর হাট, বানারীপাড়া উপজেলার মীরেরহাট, মসজিদবাড়ি, নলশ্রী, কালিরবাজার,খেজুরবাড়ি,গোয়াইল বাড়ি,উত্তর নাজিরপুর ও দান্ডয়াট সহ বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশণ করেন।

এসময় বরিশাল-২(বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার পল্লী উয়ন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম তার সঙ্গে ছিলেন। এছাড়াও সফর সঙ্গী ছিলেন উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আ. মজিদ সিকদার বাচ্চু,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম শাহিন,বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সফিউদ্দিন,উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন,উজিরপুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল প্রমুখ।

নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শণ শেষে প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এলে তাকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এসময় তিনি বলেন দেশের ৮০ ভাগ এলাকা নদী ভাঙনের শিকার। একেকটি নদীর চরিত্র ও গতি ধারা একেক ধরণের। নদীর ভাঙন রোধ করতে হলে নদীর গতি প্রকৃতি চিহিৃত করে সুদূর প্রসারী ও সুপরিকল্পিত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন একটি দপ্তরের প্রধান যদি সৎ হন তাহলের সেই দপ্তরের অর্ধেক দুর্নীতি কমে আসে। তিনি সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের শিকার হাট-বাজার ও খেয়াঘাট এলাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তা রক্ষায় আশু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান। তিনি এসময় শাহে আলমের মতো সৎ ও কর্মবীর নেতাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়ায় বানারীপাড়া ও উজিরপুরবাসীকে সৌভাগ্যবান বলেও বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

এসময় বক্তৃতায় স্থানীয় সাংসদ মো. শাহে আলম বলেন সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এ দু’উপজেলার বির্স্তীণ জনপদ নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে শত শত পরিবার সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়ার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বকুল চন্দ্র কবিরাজ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা,বানারীপাড়া থানার ওসি খলিলুর রহমান, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা,সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপি চেয়ারম্যান মো.খিজির সরদার,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা,যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আ.জলিল ঘরামী,সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু,সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা ডা. খোরশেদ আলম সেলিম, শামসুল আলম মল্লিক,ইউপি চেয়ারম্যান আ. মন্নান মৃধা,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন প্রমুখ। এদিকে এর আগে ভাঙন এলাকা পরিদর্শণকালে বানারীপাড়ার মসজিদ বাড়ি ভাঙন তীরে প্রতিমন্ত্রী কর্নেল(অব.)জাহিদ ফারুক শামিম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন।