 
                                            
                                                                                            
                                        
বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের এক নারী কর্মকর্র্তাকে সন্ধ্যা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
বুধবার রাত ৯টার দিকে বরিশালের উজিরপুর পৌর সভার কালীর বাজার এলাকায় সন্ধ্যা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ প্রথমে ওই নারীকে ব্রিজের ওপর থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে বলে ধারণা করলেও পরবর্তীতে এটিকে দুর্ঘটনা বলে নিশ্চিত করেন তারা।
সুব্রত কর্মকার নামের ওই নারী বিএসএস কর্র্মকর্তা বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এলাকার বাসিন্দা এবং পূবালী ব্যাংকের হিজলা উপজেলা শাখার কর্র্মকর্তা সঞ্জিব কর্মকারের স্ত্রী।
তিনি বরিশালে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন এবং তার বাবার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর থানাধীন কাঠিবাড়ি এলাকায়। এছাড়া স্বামী সঞ্জিব বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই নারীকে উদ্ধারকারী জনৈক গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘রাত ৯টার দিকে উজিরপুর পৌরসভার কালীর বাজার নামক এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে টর্চ লাইট মারলে একজন নারীকে ভাসতে দেখেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তিনিসহ অন্যান্য লোকজন ট্রলার নিয়ে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পাশাপাশি ঘটনাটি উজিরপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, ‘ওই নারী দাবি করেছেন তিনি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের শিকারপুর ব্রিজের ওপর থেকে দুর্ঘটনাবশত সন্ধ্যা নদীতে পড়ে গেছেন। তিনি যখন নিজেই এমনটি দাবি করেছেন তখন এটিকে দুর্ঘটনা বলেই ধরে নেয়া যাচ্ছে।
অবশ্য উদ্ধারকারী কয়েকজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালে নেয়ার পরে ওই নারী নিজেই পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন তাকে শিকারপুর ব্রিজের ওপর থেকে কেউ একজন নদীতে ফেলে দিয়েছে। তবে কে এবং কি কারণে এটা ঘটেছে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি ওই নারী। এমনকি বরিশাল থেকে কেন তিনি শিকারপুর ব্র্রিজে গেছেন সে বিষয়টিও অজ্ঞাত রয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আমরাও প্রথম দিকে এমনটিই ধারণা করেছিলাম যে তাকে কেউ নদীতে ফেলে দিয়েছে। কেননা ব্রিজের পাশে রেলিং ছিলো, হুট করেই সেখান থেকে পড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। হয় নিজে থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন না হয় কেউ তাকে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ওই নারী নিজেই বলেছেন তিনি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছেন। তাকে কেউ ধাক্কা বা নিজে থেকে নদীতে ঝাঁপ দেননি। এজন্য ওই নারীর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার স্বামীর সাথেও কথা বলেছি। তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা সঞ্জিবের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।