মডেল হতে গেলে অবশ্যই হতে হবে ছিপছিপে গড়ন ও একটু বেশি উচ্চতার। সেই উচ্চতা আবার একেক দেশের মানুষের উচ্চতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। তবে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মডেলের নাম জানেন কি?
৩২ বছর বয়সী একাতারিনা লিসিনা রাশিয়ার নাগরিক। তার উচ্চতা ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি। তিনি পুরো বিশ্বের কাছে তার উচ্চতার জন্য পরিচিত। তবে এই উচ্চতা তাকে যেমন খ্যাতি এনে দিয়েছে তেমনি ফেলেছে বিড়ম্বনায়। পুরুষ সঙ্গী খুঁজে পাননা সহজে।
গিনেস বুকেও একাতারিনার নাম লেখা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পা তার। তার পায়ের উচ্চতা ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি। একসময় ভালো বাস্কেটবল খেলতেন একাতারিনা। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জও পেয়েছিলেন। শুধু শারীরিক কারণে লম্বা নন, নানা গুণেও যে তিনি নিজেকে বেশ উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।
এই উচ্চতা তিনি পারিবারিক সূত্রেই পেয়েছেন। একাতারিনার বাবার উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি আর মা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা। এজন্য একাতারিনা ছোট থেকেই ছিলেন বেশ লম্বা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাথায় ছাড়িয়ে গিয়েছেন প্রায় সবাইকে। এমনকি বেশিরভাগ পুরুষও তার উচ্চতার ধারেকাছে যে নেই।
আর এজন্যই হয়েছে যত সমস্যা। সম্প্রতি নিজের জীবনের গল্প শুনিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা এই মডেল। তার জীবনে উচ্চতা যেমন তাকে খ্যাতি দিয়েছে, তেমন সমস্যাতেও ফেলেছে। আর সেই সমস্যা মূলত তার জীবনের রোমান্সে। হ্যাঁ, মনের মতো পুরুষ সঙ্গী পেতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে একাতারিনাকে।
সাধারণত পুরুষের উচ্চতা হয় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি হয়। এর চেয়ে লম্বা পুরুষ হাতে গোনা। তবে তারাও তার উচ্চতা স্পর্শ করতে পারেন না। উচ্চতা নিয়ে একাতারিনার অবশ্য সেই অর্থে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা আসলে অন্য জায়গায়, হয়তো কোনো পুরুষকে তার মনে ধরেছে।
কিন্তু তার উচ্চতা একাতারিনার তুলনায় এতটাই কম যে, সম্পর্ক পাতাতে গিয়ে তিনি একটু থমকেই যান। অথবা তিনি না থমকালেও সেই পুরুষটিই পিছিয়ে যান। কেননা একাতারিনার অভিজ্ঞতা বলছে, বেশিরভাগ পুরুষই তার থেকে বেশি লম্বা নারীর সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
যদিও একাতারিনা নিজে বিশ্বাস করেন যে, একটা সম্পর্কে উচ্চতা কোনো বড় বিষয় নয়। তার পুরুষসঙ্গী তার খেয়াল রাখবে, যত্ন নেবে আর যদি সম্ভব হয় তো অর্থনৈতিক ভাবেও পাশে থাকবে, এমনই ছাপোষা প্রত্যাশা এই বিশ্বখ্যাত মডেলের।
তবে যে ব্যাপারটিকে তিনি সবচেয়ে গুরুত্ব দেন, তা হল সম্পর্কের রসায়ন আর মনের যোগাযোগ। তার বক্তব্য, যদি মনের সঙ্গে মনের সংযোগটা জোরালো হয় তাহলে কে কেমন দেখতে, কে কতটা লম্বা বা খাটো সে সব হাওয়ায় উড়ে যায়। যদিও সবই হাওয়ায় ওড়ে না, কেননা উচ্চতার জন্যই মনের মতো পুরুষসঙ্গী পেতে তাকেও যে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, সেই গল্পই এতদিনে শুনিয়েছেন তিনি।
সূত্র : মিরর