সকালের আগুন বিকেলেও নেভেনি, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কাপড় তৈরির একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আগুনের সূত্রপাত হলেও ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেল ৫ টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

পরে পর্যাপ্ত পানি না থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থলে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও জামিল উদ্দিন নামে এক সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে উত্তেজিত জনতা। আহত জামাল সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস সদস্য।

কারাখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের জিপিএইচ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন রিজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রয়েল এ্যাপারেলসের কারখানায় সকালে কয়েকজন শ্রমিক ওয়েলডিংয়ের কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ করে একটি সুতার কার্টুনে আগুন লেগে দ্রুত তা পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড,কুমিরা ও মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে সকাল সাড়ে ১০ টায় লাগা আগুন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলা বিশিষ্ট কারখানাটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনের তাপে ভবনে থাকা লোহার বারগুলো বেঁকে গেছে। অধিকাংশ মেশিন পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার পর পাশের মিলের শ্রমিকরা কিছু কাঁচামাল উদ্ধার করে উন্মোক্ত মাঠে রেখেছে।

কারখান সহকারী মাষ্টার আবু বক্কর বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা দিকে আগুন লেগে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এখানে সুতা থেকে থান কাপড় তৈরি করা হতো।

কারখানায় বিপুল পরিমাণ কাপড় তৈরীর কাঁচামাল (সুতা) ছিল বলেও জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল্লা পাশা হারুন বলেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯টি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। কোথায় থেকে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

কারখানার মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) শামশুল আলম বলেন পার্শ্ববর্তী বিদ্যুতিক ট্রান্সফার্মা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কারখানর ৯০ জন শ্রমিকের মধ্যে ৫২ জন অগ্নিকাণ্ডের সময় কাজ করছিলেন বলে জানান তিনি।

কারখানায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিলো অকেজো: ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল্লা পাশা হারুন জানান, রিজি গ্রুপের ওই কারখানায় আগুন নির্বাপনের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিলো না। যে কয়েকটি ছিল, সেগুলো অকার্যকর। আর সেগুলো ব্যবহারের কোন প্রশিক্ষণও ছিল না শ্রমিকদের।