সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

দিতি আহমেদ:ঢাকা::  সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে বহু বছর আগে লেখা কামিনী রায়ের এই কবিতা আজ প্রমাণ করেছে কিছু মানুষ এবং কিছু সংগঠন।করোনার এই সময় একদল মানুষ যখন তুলটপাট এবং চুরিতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় এগিয়ে এসেছে কিছু উদার মনের মানুষ।ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন এই স্লোগান কে সামনে রেখে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসছে মানুষের দ্বারে দ্বারে।যারা এসকল সেবা সকলের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ২০১৩ সালে মাত্র ২৫ জন ছিন্নমুল বাচ্চার পড়াশোনার খরচ নিজ কাঁধে তুলে নেন মাস্তুলের প্রতিষ্ঠাতা কাজী রিয়াজ রহমান আসিফ। এরপর ধীরে ধীরে শুরু পথ চলা।
বর্তমানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে প্রায় ১৬৫০ বাচ্চার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়াও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অঘোষিত লকডাউনে বিপদে পরেছে অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষসহ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে লোকজন। সম্মান ও লজ্জায় এসকল পরিবারের মানুষ কারও কাছে সাহায্য চাইতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে ঠিক সেই সময় এসকল পরিবারের মানুষ জন্য ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেয়। তারা একটি হটলাইন নম্বর তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন যেন মানুষ সাহায্য গ্ৰহণ করতে পারে এবং সাহায্য গ্রহণের জন্য যারা ফোন করেন তাদের নাম পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রেখে তাদের বাড়িতে গিয়ে সাহায্য পৌঁছে দিয়ে আসে মাস্তুল পরিবারের সদস্যরা এমনকি তারা ছোট কোমলমতি শিশুদের জন্যও পৌঁছে দিচ্ছে শিশু খাবার। মাস্তুলের কর্ণধার জানান দশ হাজার পরিবারকে সাহায্য করার লক্ষ্যে কাজ করছে তারা এবং ঢাকা ছাড়িয়ে জেলায় জেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, শিশু খাদ্য ও রমজানের প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে মাস্তুল।পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ।