সংসদ থেকে চিরবিদায় নিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বিশ্বাস। শনিবার তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায়। তিনি শুক্রবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি ৫ ছেলে ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ ও হুইপবৃন্দের পক্ষে আ স ম ফিরোজ, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে বিরোধীদলীয় হুইপ মো. নূরুল ইসলাম ওমর এমপি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসনের পক্ষে মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাবেক রাষ্ট্রপতির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হুসেইন হায়দারসহ, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সরকারি আইন কর্মকর্তারা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক সম্পাদক শম রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মরহুমের মরদেহ বরিশাল থেকে বিমানযোগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় এবং গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়। তিনি ১৯৯১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।