সংসদে দর্শনার্থী ও আয় দুটোই বেড়েছে

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

গত বছর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মোট সাত হাজার ৫৮০ সদস্য লুই আই কানের অনন্য স্থাপত্যকলা জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন করেছেন। চলমান সংসদ অধিবেশন সরাসরি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের সম্যক ধারণাও দেয়া হয়।

জাতীয় সংসদের ভিজিট শাখা সূত্রে জানা যায়, গেল বছর (২০১৭ সাল) দেশি-বিদেশি সাত হাজার ৫৮০ দর্শনার্থী সংসদ ভবন পরিদর্শন করেন। ওই বছর বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ আয় হয় তিন লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকা। সংসদের বিভিন্ন দর্শনীয় ও মনমুগ্ধকর স্থান এবং কক্ষ ভাড়া দিয়ে আয় হয় দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এসব টাকা পরবর্তীতে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে দেশি-বিদেশি পাঁচ হাজার ৬৭৩ দর্শনার্থী সংসদ ভবন পরিদর্শনে আসেন। তাদের কাছ থেকে আয় হয় দুই লাখ ৯০ হাজার ১০০ টাকা। সংসদ ভবনের শপথ কক্ষ এবং মন্ত্রি হোস্টেলের আইপিডি কনফারেন্স কক্ষ, সংসদীয় বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে আয় হয় দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে আসা দর্শনার্থী এবং আয় দুটোই বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) মতো এমপিদের বৃহৎ দুটি সংগঠনের নেতৃত্বে ছিল বাংলাদেশ। এজন্য আমাদের সংসদ সম্পর্কে সবার আগ্রহ রয়েছে। অনেকে নারী নেতৃত্বের ধারণা নিতেও সংসদে আসেন। এজন্য দিনদিন সংসদে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।

জানা যায়, এমপি-মন্ত্রী কিংবা সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করতে হলে কোনো ভিজিট ফি দিতে হয় না। এ ধরনের দর্শনার্থীরা সংসদে যার সঙ্গে দেখা করবেন তার সুপারিশ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন। তবে তারা সব জায়গায় যেতে পারেন না।

তবে সংসদের ভিজিট শাখাকে অবহিত করে পরিদর্শনের কমপক্ষে তিনদিন আগে যারা ভবন পরিদর্শনের আবেদন করেন তারা পরিকল্পিত ভিজিটের আওতায় পড়েন। বাংলাদেশি দর্শনার্থীদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। বিদেশিদের ক্ষেত্রে ১০ ইউএস ডলার কিংবা সমপরিমাণ টাকা। প্রথম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রবেশ ফি লাগে না। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভিজিটের আওতাভুক্ত হতে হয়। তারা মিনিস্টার হোস্টেল, দক্ষিণ প্লাজা, দক্ষিণ প্লাজার ওপর দিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ (লেভেল-৩), লেভেল-৩ প্রদক্ষিণ, চেম্বার অ্যাসেম্বলি হাউস, নর্থ প্লাজা, মসজিদ, এসআইএস রুম, কমিটি কক্ষ (যেখানে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়), শপথ কক্ষ (এমপিরা যেখানে শপথ নেন), গ্রন্থাগার, প্রধান ফটক (লেভেল-১) দিয়ে বের হয়ে ১/১ মিনিস্টার হোস্টেল দেখার সুযোগ পান।

এ বিষয়ে সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ায় জাতীয় সংসদে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের অধিকাংশই গ্রুপ ট্যুরে আসেন। বিদেশিরাও আসেন অনেকে। তবে তাদের অনেকে স্থাপত্যকলার ছাত্র ও শিক্ষক।’