জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) শুরু হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম এই অধিবেশন বেলা ১১টায় শুরু হয়। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এটি মাত্র তিন কার্যদিবস চলতে পারে বলে জানা গেছে।
সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশন চলবে ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল। বরাবরের মতো এবারও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনে যোগ দেয়া সংসদ সদস্যদের করোনা টেস্ট করতে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে সংসদে প্রবেশ করতে হয়েছে।
এই সংসদ অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ মার্চ রাত ১২টা থেকে সব ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো- ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া স্মরণীর সংযোগস্থল থেকে পুরাতন নরম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণীর পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্বপ্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিমপ্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত রাস্তা ও সব গলিপথ।
একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
চলমান করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অধিবেশন কভার করতেও সংসদে ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকরা। অধিবেশন চলার সময় ছাড়া অন্য যেকোনো সময় সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, করোনাকালীন অধিবেশনগুলোতে বিশেষ দিন ছাড়া সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। এর আগে সংসদের একাদশ ও শীতকালীন অধিবেশন ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল। এটি শেষ হয় ২ ফেব্রুয়ারি। এই অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল ১২টি। সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসতে হয়।