চলতি বছরে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিনজন। ভারতীয় নাগরিক অভিজিৎ ব্যানার্জি, অ্যাস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমার যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে এক অসামান্য পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান তারা। বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার স্টকহোমে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
এবারের নোবেল পুরস্কারের শেষবেলায় চমক। নোবেল উঠল বাঙালির হাতে। তবে আরো একটি নজির গড়ল এই নোবেল। ষষ্ঠ দম্পতি হিসেবে নোবেল পেলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অ্যাস্থার ডাফলো। প্রথম দম্পতি হিসেবে নোবেল পেয়েছিলেন পিয়ের কুরি ও মাদাম কুরি। শেষবার ২০১৪ সালে একসঙ্গে নোবেল পেয়েছিলেন মে ব্রিট মোজার ও এডভার্ট আই মোজার। তারা একসঙ্গে মেডিসিন ও ফিজিওলজি বিভাগে গবেষণার জন্য নোবেল পেয়েছিলেন।
বছর চারেক আগে ডাফলোর সঙ্গে বিয়ে হয় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডাফলো একজন ফরাসি-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ। দু’জনে একসঙ্গে আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব নামে একটি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করেন। এক সময় ডাফলো ছিলেন অভিজিতের ছাত্রী। ডাফলো তখন পিএইচডি করছেন এমআইটি বা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। আর অভিজিৎ তখন সেখানকার সুপারভাইজার। সেখানেই আলাপ দু’জনের। সেটা ১৯৯৯ সালের দিকে।
তবে তারও আগে অভিজিতের সঙ্গে দেখা হয় ডাফলোর। ১৯৯৪ সালে ডেভেলপমেন্ট ইকনমিক্স নিয়ে অভিজিৎ ক্লাস নিয়েছিলেন। আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ডাফলো। ডেভেলপমেন্ট ইকনমিক্স বিষয়টা ফ্রান্সে পড়ানো হতো না। তাই এই বিষয়ে বিশেষ কৌতূহলী ছিলেন ডাফলো।
১৯৯৭ তে ভারতে আসেন ডাফলো। সেই সময় তার গাইড হিসেবে ছিলেন অভিজিৎ। এর বছর কয়েক পরে তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ১৮ মাস একসঙ্গে ছিলেন তারা। এক সন্তানেরও জন্ম দেন অভিজিৎ ও ডাফলো ২০১২ সালের দিকে। এরপর ২০১৫ সালের দিকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে গ্লোবাল পভার্টি বা বিশ্বের দারিদ্র্যের পরিস্থিতি নিয় একসঙ্গে কাজ করেছেন অভিজিৎ ও ডাফলো। তাদের সেই গবেষণা আগামিদিনে অর্থনৈতিক উন্নতির বিশেষ পথ দেখাবে বলেই আশা করা হয়। এই গবেষণার জন্যই আজ হাতে হাত ধরে নোবেল পেলেন অভিজিৎ ও ডাফলো।
এর আগে আর এক বাঙালি ইকনমিস্টকে বিয়ে করেছিলেন অভিজিৎ। কলকাতার মেয়ে অরুন্ধতী তুলি বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রথম স্ত্রী। তিনিও এমআইটি-র অধ্যাপিকা