শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবের বরিশাল

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। ক্রিজে ছিলেন ডু প্লেসি-সুনীল নারাইন। মেহেদি হাসান রানার প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন প্লেসি, দ্বিতীয় বলটি ডট হলেও আম্পায়ার বাতিল করেন। তৃতীয় বলে নারাইনের সহজ ক্যাচ ফেলেন ব্রাভো। পরের বলেই মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্লেসি।

ম্যাচের নাটাই হাতে নিয়ে নেয় ফরচুন বরিশাল। রানা ১৯তম ওভারে ১ উইকেট নিয়ে মাত্র ৪ রান দেন। মুজিবের করা শেষ ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন হলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নিতে পেরেছে ৭ রান। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে ১০ রানে জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে সাকিবের দল বরিশাল।

 

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে বরিশাল। রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৩ রানে থামে কুমিল্লা।

১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয়ী দলের বিপক্ষে ট্রফির লড়াইয়ে নামবে বরিশাল। অন্যদিকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া কুমিল্লার সামনে আরও ১টি সুযোগ থাকছে। তারা ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।

লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪৪ রান। শের-ই বাংলায় এই রান তাড়া করা কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু বরিশালের বোলাররা যেন অসাধ্যকে সাধন করলেন। ১৬তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নাটাই ছিল কুমিল্লার হাতে। শেষ ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ১৭তম ওভারে রানা এসে মাত্র ৩ রান দেন। আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে থাকে ম্যাচের মোমেন্টাম।

 

১৮তম ওভারে ১০ রান নিলেও রানার করা ১৯তম ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে আসে মাত্র ৪ রান। ১৫ বলে ২১ রান করা প্লেসি মিড উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে থাকা শেষ আশা নারাইনও ফেরেন ইনিংস শেষ হওয়ার ১ বল আগে।

৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রানা। নিজের শেষ দুই ওভারে ৭ রান দিয়ে ম্যাচের নায়ক রানার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

কুমিল্লা প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও রানের চাকা সচল ছিল না। ধীরে খেলতে গিয়ে দলকে বিপদে ফেলেন লিটন দাস-মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনে ৬৪ বলে ৬২ রান করেন ওপেনিং জুটিতে। ৩০ বলে ২০ রান করে জয় আউট হলে ভাঙে এই জুটি। অন্যদিকে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৩৮ রান। মাঝে মঈন আলী খেলেন ১৫ বলে ২২ রানের ইনিংস। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৫) দেখা পাননি দুই অঙ্কের ঘরের।

 

রানা ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমান ও শফিকুল ইসলাম। ডোয়াইন ব্রাভো নেন ১টি উইকেট। সাকিব উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ২৭ রান দেন।

এর আগে মুনিম শাহরিয়ারের ৪৪ রানে ভর করে কুমিল্লাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে পারে বরিশাল। ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২২ রান। এ ছাড়া বিশের ঘর পেরোতে পারেননি দলের কেউ।

 

জিয়াউর রহমান ১৭, ডোয়াইন ব্রাভো ১৭ ও নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন ১৩ রান করে। সাকিব-তৌহিদের ব্যাট থেকে আসে ১টি করে রান। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান করেন মাত্র ১১ রান।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন মঈন আলী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৪৩/৮ (মুনিম ৪৪, গেইল ২২; শহীদুল ৩/২৫)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৩৩/৭ (লিটন ৩৮, মঈন ২২; শফিকুল ২/১৬, মেহেদী২/১৫)।
ফল: বরিশাল ১০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মেহেদী রানা (বরিশাল)।