শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে চোখ হারালেন জামাই !

:
: ২ years ago

যশোরের কেশবপুরে জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে এক যুবকের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর প্রেস ক্লাবে এসে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের আব্দুল্লা আল বাকি ও সোবহান গাজীর মধ্যে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

বিরোধের জের ধরে গত ১ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেলে প্রতিপক্ষরা নজরুল ইসলামের জামাই আজিজুর রহমানকে (৩০) রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামে একা পেয়ে মারপিটসহ ছুরি দিয়ে বাম চোখে আঘাত করে।

আজিজুর রহমানের বাড়ি উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামে। ঘটনার দিন ওই যুবক তার স্ত্রী রেকসনা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন।

ঘটনা উল্লেখ করে আজিজুর রহমানের স্ত্রী রেকসনা আক্তার বাদী হয়ে সাত ব্যক্তির নামে কেশবপুর থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামের বোরহান দফাদার (২৫), আব্দুল খালেক গাজী (৪৮), হাবিবুর রহমান (৩৩), আব্দুল্লা আল মামুন ওরফে বাকি (৪৫), কামাল হোসেন (২৬), মাসুরা বেগম (৩৬) ও ইলিয়াস দফাদার (২২)।

আজিজুর রহমান বলেন, তিনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনার দিন তাকে শ্বশুরবাড়ির পাশে একা পেয়ে শ্বশুরের প্রতিপক্ষরা মারধর করে বাম চোখে ছুরি দিয়ে জখম করে।

ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, মারাত্মক আঘাতের কারণে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। যা আর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আজিজুর রহমানের স্ত্রী রেকসনা আক্তার বলেন, মামলার প্রধান আসামি বোরহান দফাদার এখনো গ্রেপ্তার হননি। অন্য আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

মামলা তুলে না নিলে তাদের পরিণতি আরো খারাপ হবে। এ কারণে তারা এখন পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

মামলার প্রধান আসামি বোরহান দফাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক গোরা চাঁদ দাশ বলেন, মামলার প্রধান আসামি বোরহান দফাদার পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।