শোয়েবের বিচ্ছেদে খুশি নয় পরিবার, বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না কেউ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

বেশ কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। তবে দুজনের কেউ এ নিয়ে কথা বলেননি। এর মধ্যেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন সানিয়া। সেটার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসেন শোয়েব। তবে পাকিস্তানি তারকার এ বিয়েতে নাখোশ তার পরিবার।

 

সূত্রের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, মালিকের এই বিয়েতে খুশি নয় তার পরিবার। আর এ কারণেই পরিবারের কোনো সদস্য তাদের বিয়েতেও উপস্থিত হননি। এমনকি সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ও শোয়েবের পরিবার মানতে পারেনি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শোয়েবের বোনজামাই ইমরান জাফর বলেন জানান, শোয়েবের বিয়েতে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। খবরটি তার পরে জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘তার (শোয়েব) বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জেনেছি। পরিবারের কেউ তাদের বিয়েতে অংশ নেয়নি।’

 

এর আগে আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) ইনস্টাগ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে দুটি ছবি প্রকাশ করেন শোয়েব।বর-কনে সাজে দুইজনের ছবি দুটির ক্যাপশনে শোয়েব লেখেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাদের জোড়ায় তৈরি করেছেন।’ জানা গেছে, তার স্ত্রীর নাম সানা জাভেদ। সানা পাকিস্তানের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ২০১২ সাল থেকেই টেলিভিশনের নিয়মিত মুখ। এর আগে ২০২০ সালে পাকিস্তানের সংগীতশিল্পী উমর জসওয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার।

এদিকে শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদ নিয়ে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা বলছেন, ধর্মীয় আইন ‘খুলা’ পদ্ধতি মেনেই সানিয়া এবং শোয়েবের ডিভোর্স হয়েছে। শরীয়া আইন অনুযায়ী- ‘খুলা’ হল নারীদের একটি অধিকার যার মাধ্যমে তারা একপাক্ষিক ভাবে স্বামীকে বিচ্ছেদ দিতে পারেন। সেই আইনের মাধ্যমেই সানিয়া শোয়েবকে বিচ্ছেদ দিয়েছেন।

 

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, শোয়েবের অন্য নারীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি মানতে পারেননি ৩৭ বছর বয়সী সানিয়া। ফলে অসন্তুষ্টি থেকে তিনি দীর্ঘদিন শোয়েবের প্রতি অনাগ্রহ দেখান। পরবর্তীতে ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় টেনিস তারকা।