২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
শেষ হল রুবাইয়াত হোসেনের নতুন ছবি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’এর শুটিং । এপ্রিলের ১৭ তারিখ শুরু হয়ে ছবিটির কাজ শেষ হয়েছে গেল ১ জুন। একটানা ৩৬ দিন শুটিং হয়েছে ঢাকা এবং গাজীপুরে। ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’-এর পর এটি রুবাইয়াতের পরিচালিত তৃতীয় ছবি।
নির্মাতা রুবাইয়াত জানালেন, বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়নে ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে পোষাকশিল্পের যে ভূমিকা তারই আলোকে দৃঢ়চেতা নারী পোষাক শ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প ‘মেড ইন বাংলাদেশ।’
বর্তমান ঢাকা শহরের নাগরিক জীবনের পটভূমিতে রচিত এই কাহিনীর মুল চরিত্রের নাম শিমু এবং তাকে ঘিরেই আবর্তিত এই চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমাজ জীবনের বাস্তবধর্মী এক চিত্র।
ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পর্তুগাল ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মূল অর্থায়ন এসেছে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রদত্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুদান থেকে যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স সরকারের সিএনসি ফান্ড, নরওয়ে সরকার প্রদত্ত সোরফন্ড প্লাস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রদত্ত ইউরিমাজ ফান্ড ও ডেনমার্কের ড্যানিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট ফান্ড। এছাড়াও গতবছর লোকার্ণো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস-এ অংশ নিয়ে চিত্রনাট্যের জন্য জিতে নিয়েছে আর্টে ইন্টারন্যাশনালের নগদ পুরস্কার।
অনুদান ছাড়াও ছবিটির পরিবেশক ও আন্তর্জাতিক বিক্রয় প্রতিনিধি ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশক পিরামিড ফিল্মস অর্থ বিনিয়োগ করেছে।
২০১৬ সালের লোকার্ণো চলচ্চিত্র উৎসবে ওপেন ডোরস ল্যাব এ অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এর স্ক্রিপ্ট ডেভেলপমেন্টের কাজ। এরপর ২০১৭ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের স্ক্রিপ্ট স্টেশন, হংকং ফিল্ম ফাইনান্সিং ফোরাম ও লোকার্ণো ওপেন ডোরস হাবে অংশগ্রহণ করে চিত্রনাট্যের কাজ চূড়ান্ত করার পাশাপাশি চলে অর্থায়নের কাজ।
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, দীপান্বিতা মার্টিন, মায়াবি মায়া, নভেরা রহমান ও পারভীন পারু। আরও রয়েছেন মুস্তাফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি ও সামিনা লুৎফা। এছাড়া দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী ও ভারতের শাহানা গোস্বামী।
ছবিটির মূল কুশলীদের মধ্যে রয়েছে চিত্রগ্রহণে ফরাসি চিত্রগ্রাহক সাবিন ল্যাঞ্চেলিন ও বারাকাত হোসেন পলাশ, শব্দগ্রহণে এলিশা আলবার্ট, শিল্প নির্দেশনায় ভারতের জোনাকি ভট্টাচার্য ও গ্যাফার হিসাবে পাওলো ডি সিলভা। সহকারি পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন রাজিব রাফি ও মাহদি হাসান এবং এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ ও অং রাখাইন। ছবিটির মূল প্রযোজক ফ্রঁসোয়া দ্যা’আক্তেমেয়ার (ফ্রান্স) ও আশিক মোস্তফা (বাংলাদেশ) এবং যৌথ প্রযোজক হিসাবে আছেন পিটার হায়েল্ডাল (ডেনমার্ক) ও পেদ্রো বোর্হেস (পর্তুগাল)।
৫ জুন থেকে শুরু হবে সিনেমার সম্পাদনার কাজ। ফ্রান্স ও ডেনমার্কে হবে চূড়ান্ত সম্পাদনা ও পোস্ট প্রোডাকশন। বাংলাদেশের খনা টকিজ ও ফ্রান্সের লা ফিল্মস দি এপ্রেস-মিডি এর ব্যানারে নির্মিত এই ছবিটি মুক্তি পাবে ২০১৯ সালে।
