আয়ারল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। হাসানের তোপে ২ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড নেয় মাত্র ৫ রান। ২৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড থামে ২৭০ রানে। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন স্টার্লিং। এ ছাড়া বালবির্নি ৫৩, টকার ৫০ ও টেক্টর ৪৫ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২ উইকেট নেন হাসান।
ম্যাচ জমিয়ে দিলেন শান্ত-মোস্তাফিজ
টকারকে সঙ্গে নিয়ে দারুণভাবে এগোচ্ছিলেন টেক্টর। ইবাদতরা উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না। তখন তামিম নিয়ে আসেন শান্তকে। তাতেই বাজিমাত। তাকে পেয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে লিটনের অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন টেক্টর। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। শান্ত পান প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের দেখা। ভেঙে যায় ৬৫ বলে ৭৯ রানের জুটি। পরের ওভারেই মোস্তাফিজ ফেরান কার্টিস ক্যাম্পারকে। ১ রানের ব্যবধানে আইরিশদের ২ উইকেটের পতনে জমে উঠে ম্যাচ। ৬ ওভারে আইরিশদের প্রয়োজন ৪২ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫ উইকেট।
টেক্টর-টকার জুটিতে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ
৫৩ রানে বালবির্নির বিদায়ের পর ৫৮ রানে স্টার্লিংকে ফেরান মিরাজ। তাও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। দুজনের বিদায়ের পর জুটি গড়েছেন টেক্টর-টকার। দুজনে খেলছেন সাবধানী খেলা। সুযোহ পেলেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে ৪৯ রান আসে। টেক্টর ৩১ টকার ২৬ রানে ব্যাট করছেন। ৩৭ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৫ রান।
স্টার্লিং-বালবির্নির ফিফটি, চাপে বাংলাদেশ
১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন স্টার্লিং-বালবির্নি। দুজনে জুটি গড়ে খেলতে থাকেন কতৃত্ব দেখিয়ে। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ফিফটি। বালবির্নি ফিফটির পর সাজঘরে ফিরলেও এখনো ক্রিজে আছেন স্টার্লিং। দুজনের জুটি থেকে আসে ১০৯ রান। ৫৩ রানে ইবাদতের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক। ক্রিজে স্টার্লিংয়ের সঙ্গী আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান টেক্টর। ২৭ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৭ রান। মোস্তাফিজ-ইবাদত ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া আর কোনো বোলার উইকেটের দেখা পাননি।
শুরুর ধাক্কা সামলে আইরিশদের প্রতিরোধ
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের করা বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দেন স্টিফেন দোহনি। দ্বিতীয় স্লিপে বল তালুবন্দি করতে ভুল করেননি লিটন। ৪ রান আসে দোহনির ব্যাট থেকে। ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে আয়ারল্যান্ড। স্টার্লিং-বালবির্নির দ্বিতীয় উইকেটের জুটি থেকে ইতিমধ্যে আসে ৪৫ রান। ১৩ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬২ রান।
২৭৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ
তামিমের আউটের পর মুশফিক মিরাজের জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। দুজনে ৭২ বলে যোগ করেন ৭৬ রান। ৫৪ বলে ৪৫ রান করে মুশফিক আউট হতেই ছন্দপতন ঘটে। তার আউটের পর মাত্র ১৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। তামিমের আউটের পর মুশফিক মিরাজের জুটিতে দারুণভাবে এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। দুজনে ৭২ বলে যোগ করেন ৭৬ রান। ৫৪ বলে ৪৫ রান করে মুশফিক আউট হতেই ছন্দপতন ঘটে। তার আউটের পর মাত্র ১৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন তামিম। এ ছাড়া মিরাজ ৩৭ ও লিটন ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডেয়ার।
৮২ বলে ৬৯ করে আউট তামিম, ভরসা মুশফিকে
৯ মাস পর ফিফটি পেয়েছিলেন তামিম। সেটিকে সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করতে পারেননি ওয়ানডে অধিনায়ক। ৬টি চারে ৮২ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। তামিমের আউটে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইয়ংয়ের বলে ডকরেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তামিমের আউটের পর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন মুশফিক। ৩৬.৩ ওভারে বাংলাদেশ ২০০ পূর্ণ করে। এর আগে দলীয় ১০০ হয় ১৬.৫ ওভারে। ৩৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৫। মুশফিক ২৭ মিরাজ ৯ রানে ব্যাট করছেন।
লিটন-হৃদয়ের বিদায়, ৯ মাস পর তামিমের ফিফটি
সাবলীল খেলতে থাকা লিটন দাস ফেরেন ম্যাকব্রিনকে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে। ৩৯ বলে ৩ চারে ৩৫ রান করেন তিনি। তার আউট ভাঙে তামিমের সঙ্গে গড়া ৭৬ বলে ৭০ রানের জুটি। লিটন আউটের পর ফিফটির দেখা পান তামিম। ডিপ থার্ডম্যান অঞ্চলে লিটলকে চার মেরে ৬১ বলে ফিফটির দেখা পান ওয়ানডে অধিনায়ক। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চারে। ২০২২ সালের আগস্টের পর ফিফটির দেখা পান তিনি। লিটন আউটের পর ক্রিজে আসা হৃদয় ফেরেন ১৩ রান করে। ডকরেলের বলে বোল্ড হন হৃদয়। তামিমের সঙ্গী মুশফিক। বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬০ রান।
শান্তর বিদায়, তামিম-লিটনের জুটির ফিফটি
চার মেরে রানের খাতা খোলা শান্তকে দেখাচ্ছিল বেশ দারুণ। কিন্তু ক্রিজে সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ইয়ংয়ের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন। ৭টি চারে ৩২ বলে ৩৫ রান করেন শান্ত। তার আউটে ভেঙে যায় তামিমের সঙ্গে গড়া ৪৯ রানের জুটি। শান্ত ফিরলে তামিমের সঙ্গী হন লিটন। প্রথম দুই ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন চারে খেলছেন বেশ দারুণ। দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তামিমের সঙ্গে জুটির রান ইতিমধ্যে পঞ্চাশ ছড়িয়েছে। বাংলাদেশ ১৬.৫ ওভারে দলীয় ১০০ পূর্ণ করে। ২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৬। তামিম ৪০ লিটন ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
অভিষেকে ব্যর্থ রনি, তামিম-শান্তর প্রতিরোধ
অভিষেকে ব্যর্থ রনি। লিটনের পরিবর্তে তামিমের সঙ্গী হন তিনি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ১৩তম বলে কাভারে ড্রাইভ করে চার মেরে রানের খাতা খোলেন রনি। অ্যাডেয়ারের পরের বলেই খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। রনি ফেরার পর তামিম-শান্ত এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৩৩ রান। গত ম্যাচের মতো শান্তকে আজও দেখা যাচ্ছে সাবলীল। তৃতীয় ওভারে জীবন পান তামিম। লিটলের করা তৃতীয় ওভারে স্লিপে ক্যাচ দেন ওয়ানডে অধিনায়ক। তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন বালবির্নি। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬২।
রনি-মৃত্যুঞ্জয়ের অভিষেক, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করবে তামিম ইকবালের দল। একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে রনি তালুকদার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর অভিষেক হচ্ছে। চেমসফোর্ডের ক্লাউড কাউন্টি গ্রাউন্ডে রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে খেলাটি শুরু হবে। আগের দুই ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া থাকলেও আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সিরজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ জিতলেই সিরিজ বাংলাদেশের।
রনি এর আগে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিরিজে এক দিনের ক্রিকেটে একাদশে সুযোগ পাননি। বিদেশের মাটিতেই লাল সবুজের জার্সিতে ওয়ানডেতে পথ চলা শুরু হলো রনির। অপেক্ষা করতে হয়নি মৃতুঞ্জয়কে। প্রথম সিরিজেই অভিষেক। সাকিব না থাকায় এই পেস অলরাউন্ডারের একদিনের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হলো।
ইনজুরিতে সাকিব, বাদ পড়লেন তাইজুল-শরিফুল
ইনজুরির কারণে একাদশে নেই সাকিব আল হাসান। বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। এই তিন জনের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন রনি তালুকদার, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান। তর্জনীতে চিড় ধরায় সাকিব ছিটকে যান চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য। শরিফুল-তাইজুল বাদ পড়েছেন বাজে বোলিংয়ের জন্য। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শরিফুল ৯ ওভারে দেন ৮৩, আর তাইজুল মাত্র ৭ ওভারে দেন ৫৯ রান। শরিফুল ২টি ও তাইজুল ১টি উইকেট নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রনি তালুকদার, মেহেদি হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
আয়ারল্যান্ড: স্টিফেন ডোহেনি, পল স্টার্লিং, অ্যান্ডি বালবির্নি (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লরকান টকার (উইকেটরক্ষক), কার্টিস ক্যাম্পার, জর্জ ডকরেল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, মার্ক অ্যাডায়ার, ক্রেইগ ইয়ং ও জোশ লিটল।