’শেষ পৃষ্টা’ কথাটি দিয়ে বুঝায় গল্পের শেষ। সেটা হতে পারে মধুর অথবা হতে পারে কষ্টের। জীবন পাতারও শেষ পৃষ্টা থাকে। থাকে আনন্দ আবার থাকে বেদনা। তেমনি পাওয়া না পাওয়ার একটি গল্প ‘শেষ পৃষ্টা’। এর এক প্রান্তে কেউ একজন না পাওয়ার কষ্টে ব্যাকুল, অন্য প্রান্তে দু’জন মানুষের পাওয়া এবং এক হওয়ার মধুরতা। এমনই একটি গল্প নিয়ে ঈদুল ফিতরের জন্য নির্মিত হলো টেলিছবি ‘শেষ পৃষ্টা’।
সেজান নূরের গল্পে টেলিছবিটি নির্মাণ করলেন আজাদ আল মামুন। উওরার বিভিন্ন লোকেশন শেষ হলো এর শুটিং ।ফ্যাক্টর থ্রি সল্যুশনস-এর ব্যানারে নির্মিত জেড এস মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত টেলিছবিটিতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুন নূর সজল ও মেহজাবিন চৌধুরী। আরও অভিনয় করেছেন এস এন জনি, মীর শহীদ, আজম খান, এম এইচ ফয়সাল, আবির খান ও নুসরাত দোলন।
টেলিছবিটির গল্পে দেখা যাবে নায়িকা বাঁধন একজন সমাজকর্মী। তিনি সেচ্ছায় রক্তদানের একটি সংগঠন পরিচালনা করেন। পাশাপাশি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বাঁধনের অফিসের বস তন্ময় তাকে ভালবাসেন। কিন্তু তা মুখে প্রকাশ করতে পারেন না। একদিন রাস্তায় এক দুর্ঘটনার মাধ্যমে পরিচয় হয় বাঁধন ও মৃদুলের। দুজনের প্রথম পরিচয়টা ততটা সুন্দর হয়ে উঠে না। কেননা বেকার এক যুবকের চাকরির ইন্টারভিউ আটকে যায় বাঁধনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনার কারণে। কোন এক সময় বাঁধনের কারণেই বেকার মৃদুলের চাকরি হয় তার অফিসে। চলতে থাকে নানান ঘটনা।
এতে বাঁধন চরিত্রে মেহজাবিন, অফিসের বস চরিত্রে এস এন জনি এবং চাকরি খুঁজে বেড়ানো বেকার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল।
এই টেলিছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে সজল বলেন.`এখন সংখ্যা নয়; কোয়ালিটি দেখে কাজ করি। নাটকের প্রস্তাব এলেই গল্পটা দেখি। গল্প পছন্দ হলেই শিডিউল দেই। টেলিছবিটির গল্প ভালো লেগেছে বলেই কাজ করেছি। এতে একটা সিনেমাটিক ব্যাপার রয়েছে। আশা করি, দর্শকদের ভালো লাগবে।’
টেলিছবিটি প্রসঙ্গে নির্মাতা আজাদ আল মামুন বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভালভাবে শুটিং শেষ করতে পেরেছি।এ জন্য টিমের সবাই অনেক কষ্ট করেছেন । অভিনেতা-অভিনেত্রী সবাই অনেক বেশি আন্তরিক ছিলেন। আশা করছি দর্শকরা ভিন্নধর্মী একটি গল্প দেখতে পারবেন।’
আসছে ঈদে কোন একটি চ্যানেলে টেলিছবিটি সম্প্রচার হবে বলে জানান তিনি।