রিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগীর স্বজন কর্তৃক ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর ওই স্বজনকে প্রথমে মারধর করলেও পরে ক্ষমা চাওয়ায় ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি ইন্টার্নরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও পরিচালকের আশ্বাসে তারা স্ব স্ব স্থানে ফিরে যায়। আজ দুপুরে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-১ এ মাহাদী নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক ও রোগীর এক স্বজনের মাঝে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, রোগীর ওই স্বজন ওষুধ নিয়ে ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করলে চিকিৎসক তাকে বাহিরে যেতে বলে। এসময় চিকিৎসক ও রোগীর ওই স্বজনের মধ্যে বাক-বিতান্ডা হয়। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর ওই স্বজনকে মারধর করে। হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নাহিদ জানান, তাদের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক রাউন্ডের পুর্বে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের রোগীর সাথে থাকা অতিরিক্ত স্বজনদের বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় এক স্বজন বাধ সাধলে ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্চিত করে।
পরে অন্য ইন্টার্নচিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর ওই স্বজনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে অশোভন আচরন করলে ২/১ একটি চর-থাপ্পর দেয়া হতে পারে। তবে ঘন ঘন রোগীর স্বজনদের সাথে এ ধরনার ঘটনা ঘটায় তারা সবাই মিলে (ইন্টার্ন চিকিৎসকরা) পরিচালকের কার্যালয়ে যান। সেখানে পরিচালক রোগীর ভিজিটর নিয়ন্ত্রনে আনায় কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বস্ত করলে ইন্টার্নরা স্ব-স্ব স্থলে ফিরে যান।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, রোগীর ভিজিটর নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য কিছু লোক তিনটি গেটে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকের রাউন্ড চলাকালীন সময়ে ওয়ার্ডেও ভিজিটর নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা চলছে। আজকের ঘটনায় রোগীর ওই ভিজিটর ক্ষমা চাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।