ঝালকাঠি সদরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন যাত্রী। এদের মধ্যে দুইজনকে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে স্বজনদের আহাজারিতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিবেশ কষ্টে ভারি হয়ে উঠেছে।
শেবাচিমে ভর্তি আহতরা হলেন, আল মামুন (৩৯) ও মামুনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৫)। তারা একই পরিবারের ৪ সদস্য ডাক্তার দেখানোর জন্য ওই বাসে বরিশালে আসছিলেন। মামুন ও শিল্পী আহত হলেও মামুনের মা রহিমা বেগম ও তার স্ত্রীর বড় ভাই কালাম হোসেন মারা গেছেন।
মামুনের স্বজন ইয়াসমিন জানান, নিহত রহিমা বেগমের চিকিৎসা করাতে বরিশাল আসার পথে তার পরিবারের দুই সদস্য মারা গেছেন। দুইজনকে শেবাচিতে ভর্তি করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম জানান, মামুন তার হাতে, ঘাড়ে, মাথায় আঘাত পেয়েছেন। শিল্পী কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত না হলে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ইউপি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাস বাশার স্মৃতি। পথে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌঁছালে ইউপি ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালান। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এসময় ২৫ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ১৩ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।