দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করেছে বরিশাল শের- ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হাসপাতাল কম্পাউন্ডে জনসচেতনতামূলক বার্তাসমূহের হ্যান্ডবিল ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পারিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। এ সময় হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এস. এম. মনিরুজ্জামান, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভান্ডার) ডা. মোঃ রেজওয়ানুর আলম ও সেবা তত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সাহিদা খানম উপস্থিত ছিলেন। জানাগেছে, চলমান দাবদাহের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য জনসচেতনতামূলক বার্তাসমূহের হ্যান্ডবিল ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।
এর পূর্বে দাবদাহে স্বাস্থ্য সুরাক্ষার জনসচেতনতামূলক বার্তাসমূহের পোস্টার ও ব্যানার হাসপাতালে জরুরী বিভাগসহ অনান্য দৃশ্যমানস্থনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দাবদাহে জনসচেতনতামূলক বার্তাসমূহের হ্যান্ডবিল ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি বলেন, এই গরমে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জনগনকে তীব্র গরম থেকে দূরে দুরে থাকতে হবে এবং কাজের সময় মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন। গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে আসেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও গভেষনা বিভাগ থেকে প্রেরিত জরুরী নোটিশে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসের বাকি সময় এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহ ধরে সারা দেশে থেমে থেমে তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে যা “ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার” নামে পরিচিত। আর আবহাওয়ার অধিক উষ্ণতা ও আর্দ্রতা জনিত ঝুঁকি থাকতে পারে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাস পর্যন্ত। এ ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে চলা যায়, এই গরমের মধ্যে কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চলমান দাবদাহের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “পরিকল্পনা ও গবেষণা” শাখার তত্ত্বাবধানে -শীর্ষক একটি গাইডলাইন এবং কতিপয় জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রস্তুত করা হয়েছে। উক্ত গাইডলাইন ও জনসচেতনতামূলক বার্তাসমূহ জনগণের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছানো ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জনসচেতনতামূলক বার্তাসমূহের হ্যান্ডবিল ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।