বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের রোগী, স্বজন ও পথচারীরা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতাল ভবনের সামনের দুটি সৌন্দর্যবর্ধক পিলার ধসে পড়লে রোগী ও স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পথচারীদের ডাকে সতর্ক হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং গণপূর্ত বিভাগে খবর জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁটল ধরা পিলারসহ পাশে থাকা আরো ৩টি নাজুক সৌন্দর্যবর্ধানকারী পিলার ভেঙে ফেলে।
বরগুনা থেকে আসা প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের মেডিসনি ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন বেল্লাল হোসেন বলেন, হঠাৎ দেখেন শেবাচিম হাসপাতালের মাঝের গেট ও জরুরি বিভাগের গেটের মধ্যস্থলের ভবনের পিলার খসে পড়ছে। এতে পথচারী ও রোগীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেকে ছোটাছুটি শুরু করে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল ফজল বলেন, হাসপাতাল ভবনের মাঝ বরাবর সৌন্দর্য্যবর্ধন পিলার ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে যে ভুমিকম্প হয় এর প্রভাব এটি ঘটেছে। লুবার নামের এ পিলার ধসে পড়লেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়েছে। পরিচালক আরো বলেন, ৫০ বছরের পুরোনো ভবন, এমনটা হতেই পারে।
গণপূর্ত বিভাগের বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায় বলেন, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ভুমিকম্প হয়। এর প্রভাবে সৌন্দর্য্যবর্ধন পিলার লুবারে ফাটল ধরেছিল। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এর দুটি লুবার ধসে পড়ে। এখন তারা সেগুলো সরিয়ে মেরামত করে দিবেন। এক্ষেত্রে মূল ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলউদ্দিন জানান, ৫০ বছরের পুরোনো হাসপাতাল ভবনটির বিভিন্ন কারিগরি দিক ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।
উল্লেখ, ১৯৬৮ সালে শেবাচিম হাসপাতাল ভবন স্থাপিত হয়। শুরুতে ছিল ১শ’ শয্যা। ১০ বছর পর ৫শ’ শয্যায় উন্নীত হয়। প্রায় ৫ বছর আগে হাসপাতালটি এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা হয়। প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়লেও শয্যা এবং ভবন সম্প্রসারণ করা হয়নি গত ৫০ বছরেও। ৫০ বছরের পুরাতন এ হাসপাতাল ভবনের বিভিন্ন স্থান প্রায়ই খসে পড়ছে। এতে লোকজনও আহত হচ্ছে।