২০১৬ সালে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়োগ বানিজ্যের কারণে বন্ধ হয়ে যায় নিয়োগ পাওয়া ২২৬ কর্মচারীর যোগদান। তবে গত বৃহস্পতিবার উচ্চাদালতের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের যোগদানের অনুমতি দিয়েছে। কিন্ত তার পরও তাদের কাগজপত্র যাচাই বাছাইর জন্য গতকাল শনিবার যোগদান করতে পারেনি তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের পক্ষে ওই আদেশ পত্রে পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবিএম মুজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনা কপি শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্ত শেবাচিম হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ আব্দুল কাদের বলেন, ‘কাগজপত্রগুলো আমরা দেখছি। রোববার আমরা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। এখানে শুধু অধিদপ্তর নয়, মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। সব কাগজপত্র আমরা দেখছি।
’ শেবাচিম হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা জানান, গত ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী ৬০ নং স্বারকে মাধ্যমে ২২৬ জন কর্মচারীর নিয়োগ পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চাদালতে ১৩৬৩/১৬ নং রীট মামলা করা হয়। এতে উচ্চাদালত ২০১৬ সালের ২২ আগষ্ট আবেদনকারীগনের রায় দেন। পরবর্তীতে উচ্চাদালতের আপীল বিভাগ ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর ওই রায় বহাল রাখেন। এছাড়াও প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শেবাচিম পরিচালকে অনুরোধ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬ ফেব্র“য়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব আবদুল ওহাব খান স্বাক্ষরিত আদেশে মহাপরিচালককে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের চিঠি পাঠান। ওই চিঠি পাওয়ার পরই কর্মচারীদের পক্ষে রায়ের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শেবাচিম হাসপাতালে ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেনীর ১৭২ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় নিয়োগ বানিজ্য। এ কারণে হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও বরখাস্ত হয়। পাশাপাশি স্থগিত হয় কর্মচারীদের যোগদান।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com