‘শেখ হাসিনার মডেলে’ মানুষের ভাগ্য বদলেছে: জয়

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদর্শিত বিচক্ষণ মডেলের জন্য দেশের মানুষের ভাগ্যও বদলেছে উল্লেখ করে আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন একটি প্রাণবন্ত ও আধুনিক জাতি হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান তারকা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার বেশ কিছু উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকার রেখেছে।’

ফরেননিউজ ডট অর্গ-এ প্রকাশিত একটি মতামতে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অনন্য মডেল দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময়ের জন্য দারিদ্রের দুষ্টচক্রে আটকে পড়া লক্ষাধিক দরিদ্র লোকের জীবন পাল্টে দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, বাংলাদেশের মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন ৭১০ ডলার থেকে বেড়ে ২,০৬৪ ডলার হয়েছে। এইচএসবিসি ব্যাংক সম্প্রতি বলেছে- বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। যার বৃহত্তর অংশে রয়েছে গত বিশ বছরে এর প্রায় ৬ শতাংশ টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভূমিকা।’

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স ২০২১ অনুসারে বাংলাদেশ লিঙ্গ বৈষম্যকে কমানোর ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে। যদিও অনেক কাজ করা বাকি আছে। বাংলাদেশের নারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা উপভোগ করছে।’

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৭.৫ শতাংশ। ২০২০ সালে ২০.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। দৈনিক ১.৯০ ডলারের কম আয়ে জীবনযাপন করে এমন চরম দারিদ্র্যের হার ২০০৯ সালের ১৯.৩ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে ১০.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি বাংলাদেশের ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছে এবং ‘দারিদ্র্য নিরসনের মডেল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসনীয় উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা। এ পদক্ষেপ বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে সুফল দিচ্ছে।