রাজধানীর প্যানপ্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বীমা শিল্পের প্রতি এখনও অনেক মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। অনেক সময় অনেকে প্রতারিত হয়েছে। এ শিল্পের প্রতি অনেকের অভিযোগও রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় গ্রাহকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। শুধু মুনাফা নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।
এখন বীমা শিল্পে লেনদেনে বেশকিছু স্বচ্ছতা আনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ প্রাকৃতিক ঝুঁকিপ্রবণ একটি দেশ। এ দেশের গরিব মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসব ঝুঁকি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের বীমার আওতায় এনে বীমা-মালিকরা তাদের সেবারের হাত প্রশস্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এলে বীমার গ্রাহক সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
‘এ দেশের মানুষের জীবনমান যেন উন্নত হয় সেজন্য আমরা ডেল্টাপ্ল্যান গ্রহণ করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, সে লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি’, বলেন শেখ হাসিনা।
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী ১৫তম আন্তর্জাতিক ক্ষদ্রবীমা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, অধ্যাপক রুবিনা হামিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।