বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, মিয়ামারের রোহিঙ্গা সংকটে বাইরে কিছু শক্তিও কাজ করছে। তারা রাখাইনের ধর্মীয় সংঘর্ষ অব্যাহত রাখতে চায় এবং তা ছড়িয়ে দিতে চায়।
এমনও হতে পারে তারা রাখাইনে আইএস ও অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার করতে পারে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীরা। এই ইস্যুটি উপপ্রধানমন্ত্রী প্রাউয়িত ওয়সুওনকে জানানো হয়েছে। তাই তিনি ওই সীমান্ত পোস্টে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন সব গোয়েন্দা তথ্য অনেক দিন ধরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ব্যাংকক পোস্টের এক সম্পাদকীয়তে এসব তথ্য জানা গেছে। তাতে আরও বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার মধ্য দিয়ে এখানে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের মতো গ্রুপের নতুন আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আইএস মধ্যপ্রাচ্যে পরাজিত হয়েছে। পরাজিত হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য স্থানে।
তারা এখন চোখ রেখেছে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত মুসলিমদের দিকে, যাদের সহায়তা প্রয়োজন। এমন মুসলিমদেরকে তারা খুঁজে পেতে পারে রাখাইনে। এমন করে যদি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো এ অঞ্চলে প্রবেশ করে তাতে শুধু মিয়ানমার অস্থিতিশীল হবে এমন না, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও আক্রান্ত হবে। তাই আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর উচিত একটি যৌথ গ্রুপ তৈরি করা, যেখানে আঞ্চলিক ও বিশ্বের সন্ত্রাসবিরোধীদের দেয়া তথ্য আলোচনা করা যাবে, তথ্য বিনিময় করা যাবে।