শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডে কেমন হবে একাদশ, সৌম্য-তাইজুল কি থাকবেন?

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

জিতলেই সিরিজ হবে নিজেদের। তাতে করে শুধু ওয়ানডেতে সাফল্যের ধারাই শুধু অব্যাহত থাকবে না, টি-টোয়েন্টি সিরিজ পরাজয়ের এক মধুর প্রতিশোধ হবে। সেটা কি পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল?

বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ের পর এখন অনেকটাই চাপমুক্ত টাইগাররা। শেষ দুই ম্যাচের একটি জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত।

 

আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে। প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর এখন বড় প্রশ্ন, টাইগারদের টিম কম্বিনেশন কি পরিবর্তন হবে?

সাধারণ ম্যাচ জেতার পর ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। সাধারণ হিসেবে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট, থিঙ্ক ট্যাঙ্কও হয়তো তা চাইবে না। তবে জয়ের পরও প্রথম ম্যাচে যে ঘাটতি, ফাঁক-ফোকর ছিল তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ আছে।

 

দুটি জায়গা আছে, যেখানে কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স হয়নি। এক নম্বরে হলো টপ অর্ডার; বিশেষ করে ওপেনিং জুটি। আর দুই. স্পিন ডিপার্টমেন্ট।

যদিও ওপরে লিটন দাস, সৌম্য সরকার আর তাওহিদ হৃদয় তিনজনই খারাপ করেছেন। প্রত্যেকের আউট হওয়ার ধরন চোখে লেগেছে। এর মধ্যে লিটন ও হৃদয়কে দেখে মনে হয়েছে, খুব ‘ক্যাজ্যুয়াল’ ছিলেন। আর সৌম্যকে আড়ষ্ট লাগলো। তাই সৌম্যর বদলে তানজিদ হাসান তামিম অথবা এনামুল হক বিজয়ের কাউকে খেলানোর সম্ভাবনা আছে।

ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন হলে ওই একটিই হবে। সৌম্যর বদলে বিজয়-তামিম জুনিয়রের কেউ একজন ঢুকে যেতে পারেন লিটন দাসের ওপেনিং পার্টনার হয়ে।

 

পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। সেখানে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম আর তানজিম সাকিব প্রথম ওয়ানডেতে সমান ৩টি করে উইকেট পাওয়ায় তাদের বিকল্প কাউকে চিন্তা করার সুযোগ নেই।

আর স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজও বেশ ভালো বোলিং করেছেন। একমাত্র অনুজ্জ্বল পারফরমার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের জায়গায় রিশাদ হোসেনকে খেলানো যায় কিনা, সে চিন্তা নাকি চলছে।

রিশাদের ব্যাটিংটা প্লাস। প্রয়োজনে হাত খুলে খেলতে পারেন এ তরুণ। তাই তাইজুলকে বাইরে নিয়ে যদি রিশাদকে একাদশে ঢোকানো হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।