শীতের সময় বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে গিজার। গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করার ঝামেলা থেকে রেহাই মেলে ঘরে একটি গিজার থাকলে। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গিজার ব্যবহার না হলেও শীতে এর ব্যবহার বেড়ে যায়।
এতদিন গিজার অব্যবহৃত ছিল কিন্তু প্রকৃতিতে শীত এসে পড়বে খুব শিগগির। তাই শীত আসার আগেই গিজারের কিছু সার্ভিসিং করিয়ে নিন। এতে পুরো শীতটা নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন। গরম আসার আগেই যেমন এসির সার্ভিজিং করান ঠিক তেমনি শীত আসার আগেই গিজারের সব ঠিক আছে কি না দেখে নিন।
যারা নতুন গিজার কিনবেন তাদের গিজার কেনার পর ১২ মাস অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে একজন পেশাদার দ্বারা গিজারের সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া উচিত। এছাড়াও যদি গিজার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকে, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে প্রতি ৬ মাস পর পর এটির সার্ভিসিং করানো হচ্ছে।
>> নিয়মিত সার্ভিসিং না করা হলে গিজারে স্কেলিং ঘটতে পারে, যার ফলে গিজারের হিটিং রডের জলে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জমা হতে পারে। এতে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দেখে নিন স্কেলিং হয়েছে কি না।
>> দেখে নিন গিজারের কোথাও লিক হয়েছে কি না। অনেকসময় গিজার লিক করতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। যদি গিজারে কোনো শব্দ হয় তাহলে গিজার সার্ভিসিং করিয়ে নিন।
>> গিজারের সুইচ সব ঠিকমতো কাজ করছে কি না পরীক্ষা করিয়ে নিন।
>> গিজারের সেফটি ফিচারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না দেখে নিন। গিজার ব্য়বহারের সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্ব দিতে হবে নিরাপত্তার দিকেও। এতে অটো-কাটঅফ ও সেফটি ভালভ ফিচার থাকে। যা যে কোনো বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।