ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়েছে। ডেরা সাচ্চা সৌদায় তার ভয়ে অনেক পুরুষই সমকামী হতে বাধ্য হয়েছেন। রাম রহিমের এক শিষ্যই এ ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
কয়েকদিন আগেই ফাঁস হয়েছে, রাম রহিমের হাত থেকে বাঁচতে ডেরার অনেক নারীই ঋতুস্রাবের অযুহাত দিতেন। তার আগে ডেরা থেকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আগে থেকেই অভিযোগ রয়েছে, নিজের পুরুষ ভক্তদের নির্বীজকরণ করিয়ে দিতেন রাম রহিম। তিনি নাকি চান না ডেরার কোনো নারীর প্রতি কোনো পুরুষ শিষ্য আসক্ত হোক। সেকারণে ঈর্ষার বশে পুরুষদের নির্বীজকরণ করিয়ে দিতেন।
ডেরার সাবেক শিষ্য গুরদাস সিং তুর জানান, নারীদের ধারেকাছে কোনো পুরুষ শিষ্যকে ঘেঁষতে দিতেন না রাম রহিম। তিনি নাকি প্রত্যেক নারীর স্বামীদের নির্দেশ দিতেন, তাদের স্ত্রীকে বোন বলে ডাকতে।
পরিচিত কোনো নারীর সঙ্গে দেখলে সবার সামনে হেনস্থাও করা হতো। আর তার পরেই নির্বীজকরণ করে দেয়া হতো সেই ব্যক্তিকে। অনেকেই আবার রাম রহিমের ভয়ে স্ত্রীর কাছে ঘেঁষতে না পেরে সমকামী হতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ যৌনকাতর হয়ে সমকামী হয়েছেন। এভাবেই ডেরায় দিনে দিনে সমকামী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
রাম রহিম এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি নাকি এতে সন্তুষ্টও ছিলেন; কারণ আর যাই হোক, সমকামী হলে তো আর নারীদের দিকে কেউ তাকাবে না।
রাম রহিমের উদ্দেশ্যই ছিল, ডেরার নারীদের কাছে অন্য কাউকে ঘেঁষতে না দেয়া। সব শিষ্যদের তো তিনিই একে একে ডেরার গোপন অাস্তানায় নিয়ে যেতেন।
তারপরেও যদি কেউ টুঁ শব্দ করেছে; রাম রহিম কঠোর হয়েছেন তাদের উপর। ডেরায় মিলেছে গণকবরের সন্ধান। হয়তো এই কবরে থাকা অনেক শিষ্য গুরমিতের নির্দেশ অমান্য করেছিলেন।
অথচ দুই হাজার নারীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ করেছেন রাম রহিম। তিনি শিষ্যদের ধর্ষণ করতেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে। এখন ২০ বছরের কারাদণ্ডে রোহতকের কারাগারে আছেন তিনি। সেখানে যৌনকাতর হয়ে পড়েছেন রাম রহিম।