অবশেষে মালয়েশিয়ায় স্থায়ী আশ্রয় পেয়েছে ভারতের বহুল আলোচিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক। মালয়েশিয়া সরকার তাকে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে।
তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জাকির নায়েককে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এমনই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া শেষের পথে। সেটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে শিগগিরই সরকারিভাবে মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের অনুরোধের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বক্তব্যের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগে গত সপ্তাহেই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ। এরপরেই জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বহাল তবিয়তে আছেন জাকির। তাকে স্বাগত জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। সেদেশে বেশ জনপ্রিয় এই ধর্মপ্রচারক।
তাই ভারতের অনুরোধ মেনে মালয়েশিয়া সরকার জাকিরকে প্রত্যর্পণ করবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবদিক খতিয়ে দেখে জাকিরের প্রত্যর্পণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
এদিকে, গত মাসে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ার এক মসজিদে ড. জাকির নায়েককে প্রকাশ্যে দেখা যায়। এছাড়া জাকির নায়েকের সঙ্গে বৈঠকের ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
তবে ড. জাকির নায়েককে মালয়েশিয়া আশ্রয় দেয়ায় অনেকেই অভিযোগ করেছেন ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে রাজনীতি করছে নাজিব সরকার।
অন্যদিকে, মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি পার্লামেন্টে বলেছেন, জাকির নায়েককে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পক্ষপাতমূলকভাবে দেওয়া হয়নি। তিনি এ দেশে বসবাসের সময় কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। তাই তাকে গ্রেফতারেরও কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এছাড়া জাকির নায়েককে ফেরত দেয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধ পায়নি মালয়েশিয়া সরকার।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। তার প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তখন থেকেই ড. নায়েক ভারতের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালানোর পর তরুণরা সন্ত্রাসী কাজে অনুপ্রাণিত করতে পারে, এমন ধারণায় বাংলাদেশ সরকারও পিস টিভি চ্যানেল বন্ধ করেছে।