শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাঁচ্চা বলার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ

:
: ৫ years ago

শামীম আহমেদ :: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৈকালিক চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রন না জানানোর প্রতিবাদকারীদের ভিসি রাজাকারের বাঁচ্চা বলার প্রতিবাদে ও ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবীতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ক্লাশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তারা ক্লাশে যোগ দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। একই সাথে দাবী না মানা পর্যন্ত ক্লাশ-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বৈকালিন চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রন জানানো হয়নি। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ভিসি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাঁচ্চা বলেন বলে দাবী শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবীতে আজ (২৭ মার্চ) বুধবার সকাল থেকে ক্লাশ পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু দাবী। এরমধ্যে রয়েছে টিএসসি’তে পাঠদান না করানো, সেমিনার রুমের ভাড়া ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫শ’ টাকা করা এবং সকল জাতীয় দিবস শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে উদযাপন করা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, মঙ্গলবার কিছু শিক্ষার্থী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড করার পায়তারা করে। তারা অনুষ্ঠান হতে দেতে চায়নি। যারা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড করার পায়তারা করে তারা রাজাকার নায় তো কি? এখন কি তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন? এটা কি হতে পারে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে এবং তাদের ইন্ধনেই কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনের নামে অরজকতা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সবগুলো বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডেকে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে এবং যথযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক।