রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘নেতৃত্ব বিকাশের আদর্শ স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলী জাগিয়ে তুলতে হবে। ছাত্র রাজনীতি হবে আদর্শভিত্তিক। দল বা ব্যক্তি নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র ও আদর্শিক রাজনীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তা হলে দেশে গড়ে উঠবে ত্যাগী, দক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্ব।’
রবিবার বিকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অসামাজিক কর্মকাণ্ডসহ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক ও জঙ্গি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আর তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করেছে। ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্জিত বিশাল সমুদ্রসীমার বিপুল সম্পদ কাজে লাগাতে হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হক।
পরে সমাবর্তনে ১০ কৃতি শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক, স্নাতক পর্যায়ের ৬ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও স্নাতকোত্তর ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ২ হাজার ২৬৩ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্নাতক ডিগ্রি, ৪৪৫ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও ২১৮ জনকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়।