পাবনায় স্কুলশিক্ষকের সচেতনতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেন। ঢাকা-ঈশ্বরদী রেললাইনের ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশা স্টেশনের পূর্ব পাশে ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার সকাল ১০টায় স্কুলে যাচ্ছিলেন দিলপাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সবুর। এ সময় তার চোখে পড়ে দুটি স্লিপার ভেঙে রেললাইনের একপাশ অনেকটা নিচু হয়ে আছে। লাইনটি চলনবিলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করায় এখানে ভূমি থেকে রেলের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। তাই এ ভাঙা স্থানের ওপর ট্রেন চললেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হবেন ট্রেনের যাত্রীরা। এদিকে যখন-তখন চলে আসতে পারে দ্রুতগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন। তাই আবদুস সবুর সঙ্গে সঙ্গে একজন কৃষকের কাছ থেকে লাল গামছা নিয়ে রেললাইনের ওই স্থানে টানিয়ে দেন। এরপর তিনি দৌড়ে ছুটে যান দিলপাশা স্টেশনে। কিন্তু সেখানে রেলের কাউকে না পেয়ে ফোন দেন ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব-উল-আলমকে। তিনি এ বার্তাটি দ্রুত পৌঁছে দেন জিআরপি ও লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে অবস্থানরত সাংবাদিক মানিক হোসেনের কাছে। তিনিও তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে এ বার্তাটি পাঠান রেলের পাকশী বিভাগের ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কাছে। ফলে এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে খালাসিরা দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করলেও প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
আবদুস সবুর বলেন, তখন আমি খুবই বিমর্ষ ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
ভাঙ্গুড়া স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, এ কারণে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, নীলসাগর প্রভৃতি ট্রেনের যাত্রা কিছুটা বিলম্বিত হয়। তবে তিন ঘণ্টা পর অর্থাৎ দুপুর দেড়টা থেকে সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।