শাহবাগে ভবনের সুড়ঙ্গ থেকে কোটি টাকার মদ-বিয়ার জব্দ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ‘পিকক বারে’ অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করেছে র‍্যাব-৪ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বারটির প্রথম থেকে তৃতীয়তলা পর্যন্ত অনুমোদন থাকলেও চতুর্থ তলার অনুমোদন ছিল না এবং নিচতলার সুড়ঙ্গেও অনুমোদন ছিল না।  বারের মালিক বৈধ লাইসেন্সের আড়ালে অবৈধভাবে মাদক মজুত ও ব্যবসা করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে শাহবাগের পিকক বারে অভিযান চলাকালীন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকার বেশি বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার দেশি বিয়ার, দেড় হাজার বিদেশি বিয়ার, ৬০০ বোতল দেশি মদ ও ৭০০ বোতল বেদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বারের মালিক ও বাসার মালিক সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আসতে বলা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে।

 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‍্যাব-৪ এর আভিযানিক দল, র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান পরিচালনা করছে। হোটেল পিকক লিমিটেড নামের একটি বারে নিচতলা, দ্বিতীয়তলা ও তৃতীয় তলায় বারের অনুমোদন ছিল কিন্তু চার তলায় অনুমোদন ছিল না।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি চারতলায় কিছু অবৈধ মাদক রয়েছে। চারতলা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযান চলাকালে নিচতলায় সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকেও বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়।

 

তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যাদের মাদকের লাইসেন্স নেই, যারা বাসায় বসে মদপান করে ও বাসায় বিভিন্ন মিনিবার পরিচালনা করে তাদেরকে বিভিন্ন সময় এখান থেকে মদ-বিয়ার সাপ্লাই দেওয়া হতো।

পিকক বারের লোকেশন শাহবাগ থানা থেকে খুবই সন্নিকটে। এমন বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ রাখার বিষয়ে থানার কী কোনও ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করেন কি-না। এমন প্রশ্নের উত্তরে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এইবারে যেভাবে মদ ও বিয়ার রাখা হয়েছে তা খুঁজে বের করা খুবই ডিফিকাল্ট। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র‍্যাবের যারা এখানে অভিযান পরিচালনা করছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।