শাহজাহান ওমরকে বৈধতা দেওয়া ইসির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত : বদিউল আলম

লেখক:
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

নিবাচন কমিশন নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘নির্বাচন আসন্ন, কিন্তু তাদের নিয়োগের বৈধতার প্রশ্ন কখনো যাবে না। ভবিষ্যতে ইস্যু হয়ে থাকবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে অনেক বিতর্কিত কাজ করছেন। যেমন শাহজাহান ওমরের ব্যাপার, তিনি মামলার তথ্য গোপন করেছেন। যে মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও জামিন পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সেটিই তিনি গোপন করেছেন। যা চরম বিতর্কিত।’

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রম, ভোটবিডি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি তো আসন্ন নির্বাচনকে নির্বাচনই মনে করি না। অ্যাক্ট অব চয়েজ বলে একটা কথা আছে। বিকল্প না থাকলে তো নির্বাচন হয় না। নির্বাচন নির্বাচন খেলা হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে দু’টো প্রধান ব্র্যান্ড। একটা আওয়ামী লীগ ও আরেকটা বিএনপি। বিএনপি তো নেই। যদি না থাকে তাহলে নিশ্চিত করে বলাই যায়- আওয়ামী লীগ চাইলে সবার সঙ্গে জিতবে। কিন্তু তারা আসন ভাগাভাগি করছে কেন? অন্যদের কিছু সিট দেওয়ার জন্য। প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে, নিজেদের অনুগত বা নিজেদের সৃষ্ট নাম সর্বস্ব দলগুলোর সঙ্গে।’

সুজন সম্পাদক বলেন, ‘গত দুটি যে বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, যেটার কারণে সরকারের যে লেজিটিমেসি (বৈধতা/ন্যায্যতা) সমস্যা তা আরো ভয়াবহ হবে। সরকার কিন্তু এই লেজিসলেটিভ সমস্যা দূরীভূত করতে পারবে না। বরং আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। কারণ, আমাদের নির্বাচনে কিন্তু আরো অনেকের চোখ আছে। অতীতে কিন্তু এই চোখ ছিল না। এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের আরো বিদেশি বন্ধুদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আমাদের সার্বভৌমত্বও ক্ষুণ্ন হতে পারে। বিস্তৃত বলবো না, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেতে পারি।’

বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে যদি প্রশ্ন হয়, তাহলে তাদের তফসিল ও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেই। এগুলো তো আমরা লুকিয়ে রেখেছি। কিন্তু ভবিষ্যতে এগুলো সাংবিধানিক সংকট তৈরি করবে। যারা আমাদের উপর নজর রাখছেন তারাও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। যা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।’