সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাভলী খাতুন নামের এক গৃহবধূ দুই পা জোড়া লাগানো অবস্থায় এক অদ্ভুত সন্তান প্রসব করেছেন। স্বাভাবিক মানুষের জন্মের পরই দুই পা আলাদা থাকলেও শাহজাদপুরে জন্মগ্রহণ করা এ শিশুটির দুই পা একসঙ্গে জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের পর (সিজার) অদ্ভুত অবস্থায় দুটি শিশুর জন্ম হয়। জমজ শিশু দুটির মধ্যে স্বাভাবিক শিশুটি ছেলে ও পা জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা শিশুটির শারীরিক গঠন দেখে ছেলে সন্তান বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। জমজ ছেলে সন্তানের মধ্য একটি সুস্থ্য ও স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণ করে বেঁচে আছে। কিন্তু পা জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা এই শিশুটির জন্মের কিছু সময়ের পর মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী লাভলী খাতুন দুই পা জোড়া লাগানো অবস্থায় একটি শিশু সন্তান ও সুস্থ্যভাবে আরও একটি শিশু সন্তান প্রসব করেন। একটি সন্তানের শরীরের মাথা ও মুখ-মণ্ডল স্বাভাবিক থাকলেও নাভীর নিচ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত অদ্ভুতভাবে জোড়া একটি সন্তান প্রসব করেন তিনি।
শরীরের অর্ধেক মানুষের আকৃতি আর অর্ধেক সাপের আকৃতিতে শিশুর জন্ম হয়েছে এমন গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে অদ্ভুত এই শিশুকে দেখার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমায়। তবে জমজ সন্তানের মধ্যে একজন বেঁচে থাকলেও অদ্ভুত আকৃতির শিশুটি মারা গেছে।