ভোলার লালমোহনে এসএসসি’র তিন পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে করিমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ জিহাদ ও তার ভাই ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড করিমগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তুহিন, শান্ত ও হাসান। আহত তুহিন জানায়, রাতে তিন সহপাঠী মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়।
পরে করিমগঞ্জ বাজারে এসে পৌঁছালে তাদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর মিথ্যে অভিযোগ তুলে বেধড়ক মারধর করে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ জিহাদ ও তার বড় ভাই ফরহাদ হোসেন। আহত শান্ত জানায়, মারধরের সময় জিহাদ স্যারের পা জড়িয়ে ধরলেও ক্ষমা করেননি তিনি।
আহত তুহিনের বাবা মোঃ কবির বলেন, শুনেছি স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্বার করতে সক্ষম হয়। পরে রাতেই তাদেরকে লালমোহন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অফিস সহায়কের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে করিমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মোঃ জিহাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে জিহাদের বড় ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, রাতে ওই শিক্ষার্থীদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে রাস্তার বাইরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনা শুনে ওই শিক্ষার্থীদেরকে জিজ্ঞেস করতে গেলে মোঃ জিহাদের সাথে দূর্ব্যবহার করে তারা।
এজন্য তাদের মারধর করে জিহাদ। করিমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ইকবাল হোসেন নিজাম বলেন, এ ঘটনা শুনে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্তে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।