লাখো মুসল্লির কান্নার ধ্বনিতে শেষ হলো চরমোনাই মাহফিল

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, মুক্তি ও উন্নতি কামনা এবং বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অবসান ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বরিশালে চরমোনাই দরবার শরীফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুরু করে প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।

লাখ লাখ মুসলিমের ক্রদনরোল আর আমিন আমিন ধ্বনীতে মাহফিল এলাকায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।

মাহফিলের মাঠ উপচে আশপাশের বাড়ির বাগান, আঙ্গিণা, নদীর পাড় সহ বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে লাখ লাখ মুসলিম মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

মাহফিল শেষে সড়ক ও নৌপথে তারা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। সড়কপথেও ফেরায় বরিশাল নগরীতে সকাল থেকে দীর্ঘযানজেটর সৃষ্টি হয়।

আখেরি মোনাজাতে চরমোনাই পীর ভারত কশ্মীর, মিয়ানমার, ফিরিস্তিলন, সিরিয়া সহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও মুসলিম উম্মাহার শান্তি কামনা করেন।

মোনাজাতের আগে ফজরের নামাজের পর শেষ বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ আছে যাদের নাকি জিকির ও মাহফিল সহ্য হয় না, এরা বড়ই অদ্ভুত। সরকারি দলের কোনো কোনো নেতা বলেন, তাদের নাকি মাহফিলের আওয়াজ ভালো লাগে না। এমন লোকদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হেদায়েত দান করুন।’ তিনি বলেন, দেশে স্থায়ী শান্তি আনতে হলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে।

মাহফিল আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমম্বায়ক কেএম শরিয়ত উল্লাহ বলেন, গত বুধবার শুরু হওয়া ৩ দিনের মাহফিলে মূল বয়ান হয় সাতটি।

তার মধ্যে পীর সৈয়দ মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পাঁচটি এবং মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম করেন দু’টি। কয়েক লাখ মুসলিম মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। মাহফিলে আগত মুসলিমের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১০ জন অসুস্থ্য হয়ে এবং সিরাগঞ্জ থেকে আসা ট্রলার ডুবিতে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।