লাইভে এসে কান্না করে যা বললেন পরীমনি

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন।

লাইভে তিনি অভিযোগ করেছেন, তার বাড়ির মেইনগেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ পরিচয়ে তারা হামলা চালাচ্ছে। তবে কোন থানা থেকে আসছে তারা তা বলছে না।

লাইভে তিনি বলেন, ডিবির হারুন ভাইকে ফোন দিয়েছি। তিনি বলেছেন তদন্তের স্বার্থে কেউ যেতে পারেন। তবে কিছুক্ষণ পরে তিনি জানান, তাদের কেউ যায়নি। তিনি পুলিশ পাঠাচ্ছেন। পরীমনি বনানী থানায় ফোন দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও দাবি করেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। এ সময় তিনি পরিচিতজনদের তার বাসায় আসার জন্য বলেন।

লাইভে পরীমনি আরও বলেন, ‘পুলিশ হলে তো দরজা খুলেই দেব। কিন্তু তারা তো পরিচয় দিচ্ছে না। মেরে ফেললে সবার সামনে মেরে ফেলে যাক। আমি লাইভ কাটব না। সবাই দেখুক। সবাইকে দেখায় দেব, এরা কী কী করে।’

লাইভে তিনি বলেছেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে।  তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা? মূর্খরা ভাঙচূর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি।

এ সময় পরীর বাসার দরজা ধাক্কার শব্দ পাওয়া যায়। পরীমনি বলেন, ‘ভাই আপনারা কিছু দেখতেছেন না, কিছু বলতেছেন না। আমি যে কী পরিমাণ সিক। তিন দিন ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কি আসবেন? একটু দেখবেন, এরা কারা। লিটারেলি আমার দরজা ভাঙচুর করতেছে।’

এর আগে গত ১৩ জুন পরীমনির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে তোলপাড় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে ওইদিন রাতে বনানীর নিজ বাসায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন পরী। সে রাতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা। জানান, ৮ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ।

পরদিন সকালে এ ঘটনায় করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ (৬৫), তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩), লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার।

ডিবির গুলশান জোনের উপপরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন নাসির-অমিদের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (২৩ জুন) আদালতে তোলা হয় নাসির-অমিকে।

পরীমনি এজাহারে উল্লেখ করেন, মদ পান করতে না চাইলে নাসিরউদ্দিন (১ নম্বর আসামি) জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁত ও ঠোঁটে আঘাত পাই। সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।