লম্বা সময় ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে রিশাদের ঝকঝকে ৮৭

:
: ৭ মাস আগে

নজর ছিল যাদের দিকে তারা কেউ কেউ ভালো শুরুর পর মান রেখেছেন। হাল ছেড়েছেন অল্পতে সন্তুষ্ট হয়ে। কেউ কেউ আলো ছড়াতেই ব্যর্থ। যার ওপর তেমন প্রত্যাশাই ছিল না, সে-ই কিনা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে চমকে দিলেন। অনিন্দ্য সুন্দর এক ইনিংস খেলে বার্তা দিয়ে রাখলেন, সুযোগ পেলে সবই করতে পারতেন।

 

রিশাদ হোসেন প্রথমবার জাতীয় দলের ওয়ানডেতে ডাক পেয়েছেন। মূল কাজ লেগ স্পিন। কিন্তু ব্যাটিংটাও পারেন। সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকবার দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ডের মাটিতেও দেখা মিললো।

২৮.৩ ওভারে আফিফ হোসেন যখন আউট হলেন সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে হাজির রিশাদ। নিউ জিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১৮৪। সেখান থেকে ৪৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩৩৪। যার বড় কৃতিত্ব রিশাদের। ৫৪ বলে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। ১৬১.১ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কা।

 

নিজের ব্যাটিং নিয়ে রিশাদ ম্যাচের পর বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে বলবো, অনেক দিন পর লম্বা সময় ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করেছি উইকেটে থেকে ব্যাটিং করার।’

ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়ার পর রিশাদ মূলত একাই দলের স্কোর টেনে নেন। পরের চার ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারেননি। এর আগে লিটন আউট হন ৫৫ রানে।

 

এছাড়া শুরুতে তানজিদ হাসান তামিম ৫৮, এনামুল হক বিজয় ৩৩, সৌম্য সরকার ৫৯ রান করেন। তাওহীদ হৃদয় খুলতে পারেননি রানের খাতা। দলে ফেরা আফিফ থেমে যান ১০ রানে।

ব্যাটিংয়ে দলের সেরা হওয়ার পর বল হাতেও দ্যুতি ছড়ান রিশাদ। লেগ স্পিনার ৭.২ ওভারে ৫২ রানে নেন ৩ উইকেট। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে সব বাধা পেরিয়ে বোলিয়ে সফল হয়েছেন রিশাদ।

‘কন্ডিশন একটু ঠাণ্ডা। আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। অনুশীলন ম্যাচ খেলছি, আমাদের মাথায় আসলে কন্ডিশন নিয়ে ভাবনা ছিল না। চেষ্টা করেছি মানিয়ে নেওয়ার। বোলিংয়ের সময় নিজেকে গরম রাখার চেষ্টা করেছি। যখন তখন বোলিং করা লাগতে পারে সেই চিন্তা মাথায় ছিল। তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’

 

নিউ জিল্যান্ড একাদশকে বাংলাদেশ থামিয়ে দিয়েছে ৩০৮ রানে। ২৬ রানে পাওয়া জয়ে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে সফরকারীরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এই জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগবে বলেই বিশ্বাস করেন রিশাদ, ‘আশা করছি দল ভালো কিছু করবে।’

১৭ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে হবে ডানেডিনে। পরের দুটি ওয়ানডে ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর যথাক্রমে নেলসন ও নেপিয়ারে। তিনটি ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।