লক্ষ্মীপুর-বরিশাল রুটে সি-ট্রাক বন্ধ

:
: ৬ years ago

লক্ষ্মীপুর-বরিশাল রুটে চলাচলের একমাত্র সি-ট্রাক খিজির-৮ বন্ধ রয়েছে। ইজারাদারের প্রভাবে দীর্ঘদিন থেকে সার্ভিসটি বন্ধ থাকায় ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করে ইচ্ছেমতো চালাচ্ছেন সি-ট্রাকটি। বরিশাল গন্তব্য বন্ধ রেখে চালু রাখা হয়েছে লক্ষ্মীপুর-ভোলার ইলিশাঘাট পর্যন্ত।

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে এ রুটে ঘরমুখো যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাদের কষ্টও। এ সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার হাজার-হাজার যাত্রী সি-ট্রাক সেবা না পেয়ে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিসির যোগসাজশে লক্ষ্মীপুর-বরিশাল সি-ট্রাক সার্ভিসটি উদ্দেশ্যমূলক বন্ধ রেখেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তি মালিকানা এমভি পারিজাত নামে একটি লঞ্চে করে বিপুল সংখ্যক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ভোলার প্রভাবশালী আক্তার হোসেন দুই বছর ধরে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল সি-ট্রাক খিজির-৮ ইজারা নেন। কিন্তু শুরু থেকেই তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের সুবিধামতো লক্ষ্মীপুর-ইলিশায় এ সার্ভিসটি চালু রাখেন। এতে যাত্রীরা সি-ট্রাক সেবা না পেয়ে সময়মতো বরিশাল যেতে পারছেন না।

বরিশালগামী তিনজন যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, দিনে একটি মাত্র লঞ্চ দুপুর ১২টার দিকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দিনে-রাতে আর কোনো লঞ্চ চলাচল করে না। এতে আমাদেরকে নদীর পাড়েই বাধ্য হয়ে রাত কাটাতে হয়। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা-ট্রলারে করে পাড়ি জমান।

ইজারাদার আক্তার হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর ঘাট থেকে অবৈধভাবে নৌকা ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে সি-ট্রাকের যাত্রী কম থাকে। এছাড়া বরিশাল পর্যন্ত পৌঁছাতে খিজির-৮ সি-ট্রাকটি উপযোগী না হওয়ায় সার্ভিসটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ইজারা শর্ত ভঙ্গ করছেন কি-না এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর-ভোলা ফেরি রুটের মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সিহাব উদ্দিন বলেন, বরিশাল পর্যন্ত সি-ট্রাক চালানোর জন্য ইজারাদারকে বলা হয়েছে। তিনি তা না করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হবে।