কঠোর লকডাউনের দশম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ৭৯১ জন। ২১২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৩৬১টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে নয় লাখ চার হাজার ৫০০ টাকা। আজ পর্যন্ত রাজধানীতে মোট গ্রেফতার হয়েছেন ছয় হাজার ৬৪০ জন।
শনিবার (১০ জুলাই) লকডাউনের দশম দিনে অভিযানে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় ডিএমপির আটটি বিভাগ।
রাতে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, লকডাউনের দশম দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপির ৮টি বিভাগের রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ৭৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লকডাউনে সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাফিক বিভাগ ৩৬১টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে নয় লাখ চার হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, সরকার করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আজ দশম দিনেও রাজধানীজুড়েই সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীতে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অকারণে ও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়ায় ও লকডাউনেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ২১২ জনকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার গ্রেফতার হন ৫৮৫ জন। ১২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় এক লাখ ৫৬ হাজার ৭৫০ টাকা। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৪১৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয় আট লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার লকডাউনের অষ্টম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক হাজার ৭৭ জন। ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছিল ১৬ লাখ ৭৯০ টাকা। এছাড়াও ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৯৩৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছিল ২১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা।