র্যাব হেফাজতে নওগাঁর ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিল করেছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। তবে সে প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
আদালত বলেছেন, প্রতিবেদনটি অস্পষ্ট। প্রতিবেদনে সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের পর আত্মীয়স্বজনকে জানানো হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। যে কারণে আদালত এ প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নন।
আদালত আরও বলেন, প্রতিবেদনটি অস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট ফাইন্ডিংস উল্লেখ করা হয়নি। ভুক্তভোগীকে গ্রেপ্তার করার সময় নিয়েও তথ্যগত ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। রুল শুনানির জন্য প্রস্তুত, তাই ২৯ নভেম্বর দুপুর ২টায় রুল শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হলো।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্তৃক যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের পর আত্মীয়স্বজনকে জানানো হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। দাখিল করা প্রতিবেদনে আদালত সন্তোষজনক নয়, তাই রুল শুনানির জন্য ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন সুলতানা জেসমিন। গত ২২ মার্চ জেলা শহরের মুক্তির মোড় থেকে তাকে আটক করে র্যাব। এরপর ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।