রোহিঙ্গা সংকট : বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মালালা

:
: ৭ years ago

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শান্তিতে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই। মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে বাংলাদেশকে অনুস্মরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইট বার্তায় মালালা বলেন, সহিংসতা বন্ধ করুন। আজ আমরা মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত শিশুদের ছবি দেখছি। এই শিশুরা কারো ওপর হামলা চালায়নি। কিন্তু তাদের বাড়ি-ঘর এখনো পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

সহিংসতা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে খাবার সরবরাহ, আশ্রয় ও শিক্ষার সুযোগ দিতে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে অনুস্মরণ করতে পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। টুইটে মালালা বলেন, ‘আমি সব সময় খবর দেখি, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের কষ্টে আমার হৃদয় ভেঙে যায়।’

রাখাইনে সহিংসতার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মালালা ইউসুফজাই বলেন, ‘যদি তাদের আবাস মিয়ানমারে না হয়, যেখানে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন, তাহলে কোথায় তাদের আবাস?’

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই। একই সঙ্গে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নিপীড়নের ঘটনায় শান্তির নোবেল জয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’কে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন মালালা।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করেন পাকিস্তানের এই নোবেল জয়ী।

রাখাইনে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেনা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমের প্রাণহানি ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ সহিংসতায় উত্তপ্ত রাখাইন থেকে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসছেন। মালালা বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া উচিত; যেখানে তারা জন্মগ্রহণ করেছেন।’

রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের ‘মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক’ দৃষ্টিভঙ্গির নিন্দা জানিয়ে মালালা বলেন, আমি এখনো অপেক্ষা করছি; আমার সহকর্মী শান্তির নোবেল জয়ী অং সান সু চি রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে একই ধরনের নিন্দা জানাবেন। পাকিস্তানের এই নোবেল জয়ী বলেন, রাখাইনে সহিংসতার ঘটনায় সু চির নিন্দার জন্য বিশ্ব এবং রোহিঙ্গা মুসলিমরা অপেক্ষা করছেন।