মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে তৈরি হওয়া সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ১২টি পশ্চিমা দেশ।
২০১৭ সালে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আট বছর পূর্তিতে দেশগুলো এই বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতি প্রদানকারী দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড।
১২টি দেশের ঢাকার দূতাবাস এই বিষয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়, আট বছর পেরোনোর পর দেশগুলো মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সেই কর্মকাণ্ড স্মরণ করছে, যার ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। এখনো আশ্রয়শিবিরে থাকতে নতুন করে লোকজন আসছে।
বিবৃতিতে দীর্ঘদিন ধরে কঠিন বাস্তবতা ও বাস্তুচ্যুতি সহ্য করা এবং রাখাইনে অবনতিশীল নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতিতে দৃঢ়তা দেখানোর জন্য রোহিঙ্গাদের সহনশীলতার দেশগুলো সাধুবাদ জানায়।
১২টি দেশ নতুন করে আসা রোহিঙ্গাসহ শিবিরে সবার আশ্রয়, নিরাপত্তা ও জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেদের ভূমিতে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এখনো সীমান্ত পেরিয়ে বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। রাখাইনে অনেক রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে। মিয়ানমারে এখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যাতে তারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে ও স্থায়ীভাবে ফিরে যেতে পারে। এ শর্ত পূরণ করতে হলে বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলোর সমাধান প্রয়োজন। আর এ সমাধানের জন্য প্রয়োজন একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার।
এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়- এমনটা স্বীকার করে দেশগুলো বিবৃতিতে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ ও প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য জরুরিভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।