রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বকে পাশে থাকার আহ্বান বিজিবি প্রধানের

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রোহিঙ্গা সঙ্কটকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ আখ্যায়িত করে তা মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।

সৌদি আরবে আয়োজিত সীমান্ত নিরাপত্তাবিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণেই অসহায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের সামনে উদারতা ও মানবিকতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে ভূষিত করেছে এবং বিশ্বসম্প্রদায় তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন মিয়ানমারকে অবশ্যই তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে।’

সৌদি ইন্টেরিয়র মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সৌদ বিন নেইফ বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের তত্ত্বাবধানে এবং সৌদি বর্ডার গার্ডের আয়োজনে জেদ্দায় এ আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, সিম্পোজিয়ামে ১৭টি দেশের স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞ ও শীর্ষস্থানীয় ৪৫ জন বক্তা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

গত ১৫ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সিম্পোজিয়ামে বিশেষ কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ দিন ‘ন্যাশনাল রিজিওনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড ইটস ইফেকটিভনেস টু ইনহ্যান্স বর্ডার সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি- পাস্ট-প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার’ শীর্ষক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

বিজিবি মহাপরিচালক তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অতীত-বর্তমান, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক সহযোগিতার সুফল এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অধিকতর নিরাপত্তায় তার অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।

বিজিবি মহাপরিচালক সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বাংলাদেশে সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন।

সিম্পোজিয়ামে অন্যান্য দেশের বক্তারা স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত এবং বন্দরসমূহের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের বক্তব্য ও মতামত উপস্থাপন করেন।