মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে যা হচ্ছে, তার দায় আন্তর্জাতিক মহলকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
রাশিয়ায় সফররত সৌদি বাদশা বৃহস্পতিবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপকালে এ ধরনের কথা বলেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
গত ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রাখাইনের সহিংসতাকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় সারাবিশ্ব থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে মিয়ানমার সরকারের প্রতি। শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন।
সেন্ট হিউ কলেজের সামনে থেকে সু চির প্রতিকৃতি সরিয়ে গুদামে রেখে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সু চির ফ্রিডম অব দ্য সিটি খেতাব প্রত্যাহারের ব্যাপারেও অনুষ্ঠিত ভোটে রায় গেছে তার বিপক্ষে।
অথচ বিশ্বের অন্যতম গণতন্ত্রের দেশ ভারত মানবতার বিপক্ষে গিয়ে সু চির সরকারের পক্ষে মদদ দিয়েছে; যদিও সে দেশের নাগরিকরা মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা সাধারণ মানুষ, সন্ত্রাসী নয়। সে কারণে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অথচ রোহিঙ্গাদের ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
তবে মুসলমানের দেশ সৌদি আরবকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একেবারে নীরব থাকতে দেখা গেছে। পুতিনের দেশ রাশিয়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে পরোক্ষভাবে মিয়ানমারকেই সমর্থন জানিয়েছে। সমর্থন জানিয়েছে চীনও। তবে বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে আলাপকালে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে তুলেছেন সৌদি বাদশা।
এর আগে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার ত্রাণ পাঠিয়েছেন সৌদি বাদশা।
সূত্র : রয়টার্স