ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট, আর অস্ট্রেলিয়ার ১৭৪ রান। মেঘ-বৃষ্টির শঙ্কা কাটিয়ে খেলা শুরু হয়, অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট দ্রুত তুলে ইংল্যান্ড শিবির গুণতে শুরু করে জয়ের প্রহর। কিন্তু সেখানে যে প্যাট কামিন্স নামক দেয়াল বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে সেটি হয়তো কল্পনায় আসেনি।
রবিনসনকে ডিপ থার্ডে দারুণ চারে সেই কামিন্সই লেখেন ম্যাচের এপিটাপ। ইংলিশ ঘাটিতে চলে অজিদের বুনো উল্লাস। বার্মিংহামে বিখ্যাত অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড ২ উইকেটে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো অস্ট্রলিয়া। পরতে পরতে রোমাঞ্চ ছড়ানো শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচের শেষ দিন শেষ বিকেলে অজিদের নায়ক বনে যান নেতা কামিন্স।
কামিন্স ৭৩ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়ের মারে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন নাথান লিয়ন (২৮)। দুজনের ৭২ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথ দেখায়।
তবে এক প্রান্ত আসা যাওয়ার মিছিলে অজিদের নাটাই ধরে রেখেছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান উসমান খাজা। দলীয় ২০৯ রানে খাজা ফিরলে ম্যাচ হেলে পড়ে ইংলিশদের দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কামিন্স বাঁধা পেরোতে পারেননি ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শিষ্যরা।
খাজা ১৯৭ বলে ৬৫ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানের ঝকঝকে ইনিংস আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এ ছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ৩৬, ক্যামেরন গ্রিন ২৮ ও অ্যালেক্স কারে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন স্টুয়াট ব্রড। রবিনসনের ঝুলিতে জমা হয় ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মঈন আলী, জো রুট ও বেন স্টোকস।
প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩৯৩ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। বিপরীতে অজিরা ৩৮৬ রানে অলআউট হয়। ৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ইংল্যান্ড ২৭৩ রানের বেশি করতে পারেনি। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮১। শেষ মুহুর্তে ২ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কামিন্সের দল।
২৮ জুন দ্বিতীয় লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। ইংল্যান্ডের সামনে সিরিজে সমতা আনার আর অজিদের সামনে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ।